ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ট্রাক ঢোকার সময় বেনাপোল বন্দরে তিন জায়গায় নিবন্ধন (এন্ট্রি) করতে হতো। এতে বন্দরের প্রবেশদ্বারে ট্রাকের দীর্ঘ সারি তৈরি হতো। পণ্য খালাসে সময় বেশি লাগত। আমদানি খরচ বেড়ে যেত। এই প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য আজ মঙ্গলবার প্রবেশদ্বারে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করা হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ স্থলবন্দর ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, এত দিন বাংলাদেশ অংশে তিনটি সংস্থার সমন্বয়হীনতার কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরা। এখন সেই ভোগান্তি থেকে ব্যবসায়ীরা মুক্তি পেলেন।
আজ দুপুরে বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান ওই সেবার উদ্বোধন করেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার নেয়ামুল ইসলাম, উপকমিশনার শামীমুর রহমান, বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবদুল জলিল, সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) আতিকুর রহমান, সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান প্রমুখ।
আজিজুর রহমান বলেন, আগে তিন স্থানে এন্ট্রি করতে ২০ মিনিটের মতো সময় লাগত। তখন প্রতিদিন গড়ে ৩০০টি ট্রাক বন্দরে ঢুকত। এখন তিন প্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি সমন্বিতভাবে এক জায়গায় হবে। এতে সময় বাঁচবে। দিনে আরও অন্তত ১০০টি পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে ঢুকতে পারবে। ফলে রাজস্ব বাড়বে। অন্যদিকে আমদানিকারীদের ভোগান্তি কমবে। আমদানি খরচও কমবে।
দিনে আরও অন্তত ১০০টি পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে ঢুকতে পারবে। ফলে রাজস্ব বাড়বে। অন্যদিকে আমদানিকারীদের ভোগান্তি কমবে। আমদানি খরচও কমবে।
বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা যায়, এত দিন ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকার সময় স্থলবন্দরের প্রবেশদ্বারে একই তথ্য দিয়ে কাস্টমস, বিজিবি ও বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধির কাছে তিনবার এন্ট্রি করতে হতো। এতে দ্রুত বাণিজ্য সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে তিন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আলোচনায় বসে বাণিজ্য সহজীকরণের উদ্যোগ নেন। এখন থেকে কাস্টম বিভাগ মূলত পণ্য এন্ট্রির দায়িত্ব পালন করবে। অপর দুটি প্রতিষ্ঠান বিষয়টি তদারক করবে। দিন শেষে পণ্য এন্ট্রির তথ্য প্রিন্টের মাধ্যমে সব প্রতিষ্ঠান নিতে পারবে।
বেনাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমসের কাছে আমরা যৌথভাবে তথ্য এন্ট্রির জন্য আবেদন জানিয়ে আসছিলাম। দেরিতে হলেও এই উদ্যোগে দুই দেশের বাণিজ্যে গতি আসবে।’