দিনে খাবার হোটেল, রাতে জুয়ার আসর
সকাল-সন্ধ্যায় বিকিকিনি জমত খাবারের হোটেলে। রাত গভীর হলেই খাবার বিক্রি বন্ধ রেখে হোটেলে জমে উঠত জুয়ার আসর। রাতভর সেখানে চলত জুয়া। আসরে খেলতে এসে নিঃস্ব হয়ে ফিরতেন কেউ কেউ। জুয়ার নেশায় আসরে আসা মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন জুয়াড়িরা।
খাবার হোটেলের আড়ালে এমন জমজমাট জুয়ার আসর বসানো হতো বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ধাপ-সুলতানগঞ্জ হাটে ফেরদৌসের ভাসমান হোটেলে। প্রতিদিনের মতো গতকাল সোমবারও সারা দিনের বিকিকিনি শেষে রাতে এই খাবার হোটেলে বসেছিল জুয়ার আসর। মধ্যরাতে সেখানে অভিযান চালায় র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের স্পেশাল কোম্পানির সদস্যরা। অভিযানের সময় জুয়ার আসর থেকে পাঁচ জুয়াড়িকে হাতেনাতে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ ১২ হাজার টাকা।
জুয়ার আসর থেকে আটক ব্যক্তিরা হলেন দুপচাঁচিয়া উপজেলার ধাপ-সুলতানগঞ্জ হাটের বাসিন্দা মিরাজুল ইসলাম (৩৪), বড়ধাপের মো. মিঠু প্রামাণিক (২৮), ধাপ সুখানগাড়ির বাবু প্রামাণিক (৩৬) ও জুয়েল প্রামাণিক (৩৭) এবং ধাপ যুগিপোতা গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪৮)।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে দুপচাঁচিয়ার ধাপ-সুলতানগঞ্জ হাটে ফেরদৌসের হোটেলে অভিযান চালানো হয়।
র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের স্পেশাল কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে দুপচাঁচিয়ার ধাপ-সুলতানগঞ্জ হাটে ফেরদৌসের হোটেলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় আসর থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও ১২ হাজার টাকাসহ ৫ জুয়াড়িকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের দুপচাঁচিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে রোববার রাতে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বিলহামলা গ্রামে একটি জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে ১২ জুয়াড়িকে আটক করে র্যাব-১২ বগুড়ার স্পেশাল কোম্পানির সদস্যরা। এ সময় জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ ১৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। পরে আটক জুয়াড়িদের শিবগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।