দাদির জানাজায় যাওয়ার পথে ট্রলি চাপায় প্রাণ গেল নাতির
ময়মনসিংহের নান্দাইলে দাদির জানাজায় যাওয়ার পথে ট্রলি চাপায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের জামতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত নাতির নাম আবদুল আউয়াল (৫৫)। তাঁর বাড়ি নান্দাইলের সিংরইল ইউনিয়নের কোনাডাঙর গ্রামে। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের আলোর মেলা মহল্লায় বাস করতেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার দাদি হচ্ছেন হামিদা খাতুন। তিনি গত বুধবার সন্ধ্যায় বার্ধক্যের কারণে নিজবাড়ি মুশুলি ইউনিয়নের চংভাদেরা গ্রামে মারা যান। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ছিল হামিদা খাতুনের জানাজা। সেই জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য আরেক নাতি আবদুল আউয়াল ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইকে কিশোরগঞ্জ থেকে নান্দাইলের চংভাদেরা গ্রামের দিকে রওনা দেন। ওই ইজিবাইকে আউয়াল ছাড়াও তাঁর স্ত্রী, বোনসহ সাত স্বজন ছিলেন।
ফুটবলার জামাল ভূঁইয়ার চাচাতো ভাই মো. জুনাঈদ ভূঁইয়া জানান, আজ সকালে আউয়াল তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে নান্দাইলের দিকে আসছিলেন। নান্দাইলের জামতলা পৌঁছার পর একটি মাটিবোঝাই ট্রলি ইজিবাইকটিকে চাপা দেয়। এতে আবদুল আউয়াল, তাঁর স্ত্রী রেহানা আক্তার (৪৮),বড় বোন আঙ্গুরা খাতুন (৫৮), ছোট বোন তাসমিনাসহ (৩২) পাঁচজন গুরুতর আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবদুল আউয়াল মারা যান। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর আবদুল আউয়ালকে নিজ বাড়ি নান্দাইলের কোনাডাঙর গ্রামে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
নিহত আবদুল আউয়াল একজন ব্যবসায়ী। তিনি জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার চাচাতো ভাই।