ত্রাণ চেয়ে ৩৩৩ নম্বরে ফোন বাড়ির মালিকের, জরিমানা করল প্রশাসন
৩৩৩ নম্বরে ফোন করে সরকারি ত্রাণ চেয়ে সহযোগিতা চান এক ব্যক্তি। ফোন পেয়ে ওই ব্যক্তির বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে যান উপজেলা প্রশাসনের লোকজন। দেখতে পান সহযোগিতা চাওয়া ওই ব্যক্তি চারতলা বাড়ির মালিক। পেশায় হোসিয়ারি কারখানারও মালিক।
সরকারি লোকজনকে হয়রানি করার অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন ফরিদ আহমেদ নামের ওই ব্যক্তিকে শাস্তি হিসেবে ১০০ জনকে খাদ্যসহায়তা দিতে বলেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দেওভোগ কাশিপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা জানান, করোনা–সংকটে লকডাউনের কারণে অনেক গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষ কাজ হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আবার অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারও বিপাকে পড়েছেন। তাঁরা যাতে পরিবার–পরিজন নিয়ে খাদ্যসংকটে না ভোগেন, এ কারণে সরকার ৩৩৩ হটলাইন নম্বর খুলেছে। ওই নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা চাইলে তাঁদের বাড়িতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়। সেভাবেই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
ইউএনও আরিফা জহুরা বলেন, গত বুধবার বিকেলে কাশিপুর এলাকা থেকে এক ব্যক্তি ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্যসহায়তা চান। তাঁর ফোন পেয়ে গতকাল বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের বাড়িতে খাদ্যসহায়তা নিয়ে যান তিনি নিজেই। ওই বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান, ফরিদ আহমেদ নামের ওই ব্যক্তি চারতলা বাড়ির মালিক। তাঁর হোসিয়ারি কারখানারও রয়েছে। ধনী ব্যক্তি হয়েও কেন ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্যসহায়তা চেয়েছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমনিতে ফোন করেছেন। ভুল করেছেন। তখন তাঁকে মিথ্যা সহায়তা চেয়ে হয়রানি করার দায়ে শাস্তি হিসেবে উপজেলা প্রশাসনের প্যাকেট অনুযায়ী ১০০ গরিব ব্যক্তিকে খাদ্যসহায়তা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার তিনি (ইউএনও) নিজে থেকে ১০০ গরিব মানুষের মধ্যে ওই খাদ্যসহায়তা বিতরণ করবেন বলে ওই ব্যক্তিকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
আরিফা জহুরা জানান, হটলাইন নম্বরে যেদিন ফোনকল আসে, তার পরদিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই বাড়িগুলোতে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক ব্যক্তি অযথা ফোন করে খাদ্যসহায়তা চেয়ে ফোন করেন, যা ঠিক নয়।