তুলে নিয়ে ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর প্রতিবাদে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিক্ষুব্ধরা। গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া মোড়েছবি: নুতন শেখ

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কিলোমিটার দূরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঘোনাপাড়ায় দোষীদের বিচারের দাবিতে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। বেলা দেড়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছিল।

আজ সকাল ১০টার দিকে ঘোনাপাড়া মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক এবং পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ সড়কের সংযোগস্থল ঘোনাপাড়া মোড়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তাঁরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দলে দলে স্লোগান দিতে দিতে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন।

এদিকে সড়ক অবরোধের কারণে ঢাকা এবং খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা শত শত বাস, মালবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন মহাসড়কের ওপর আটকা পড়েছে। এতে ওই মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

আরও পড়ুন

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও এক ছাত্রী গোপালগঞ্জ শহরের হেলিপ্যাড থেকে নবীনবাগের দিকে ফিরছিলেন। এ সময় চার থেকে পাঁচজন দুর্বৃত্ত তাদের গতিরোধ করেন। ছাত্রকে মারপিট করে ওই ছাত্রীকে পাশের নির্মাণাধীন জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজ ভবনে নিয়ে ধর্ষণ করেন। রাতে ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের খবর ক্যাম্পাসে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা গোপালগঞ্জ থানা ঘেরাও করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে রাতেই দুজনকে আসামি করে আমি নিজে বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেছি।’

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে মামলা দায়েরের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।