তিন বছর নষ্ট এমআরআই যন্ত্র
সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগে রোগ নির্ণয়ের এমআরআই (ম্যাগনেটিক রিসোন্যান্স ইমেজিং) যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে প্রায় তিন বছর ধরে। ফলে এখান থেকে রোগীরা রোগ নির্ণয়ের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
রোগীদের বাইরে থেকে দ্বিগুণ টাকা দিয়ে এই পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগ সূত্র জানায়, হাসপাতালে থাকা এমআরআই যন্ত্রটি ২০১৬ সালের ২০ জুন থেকে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে করা সব পরীক্ষাই বেশ ব্যয়বহুল।
যন্ত্রটি মেরামতের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ ন্যাশনাল ইলেকট্রো মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের টেকনিক্যাল দল যন্ত্রটি দেখে গেছে। যন্ত্রটি মেরামত করলেও কোনো কাজে আসবে না—এমন প্রতিবেদনও দেয় দলটি। পরে নতুন যন্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এমআরআই যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করাতে রোগীদের ভর্তি থাকতে হয়। এ যন্ত্র দিয়ে রোগ নির্ণয় পরীক্ষা বেশ ব্যয়বহুল। চালু থাকলে হাসপাতাল থেকে এ যন্ত্র দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ রোগীর রোগ নির্ণয়ের সুযোগ পেত। সাধারণত মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের জটিল রোগ নির্ণয়ে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। ওই হাসপাতালে এমআরআই করাতে খরচ পড়ে তিন-চার হাজার টাকা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এমআরআইর জন্য খরচ পড়ে সাড়ে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, যন্ত্রটি প্রায় তিন বছর ধরে নষ্ট হয়ে রয়েছে। ন্যাশনাল ইলেকট্রো মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের টেকনিক্যাল দল যন্ত্রটি পরীক্ষা করে যাওয়ার পর প্রায় দুই ধরে শুনে আসছি নতুন যন্ত্র দেওয়া হবে। কিন্তু কবে নাগাদ নতুন যন্ত্র আসবে তা আমরা এখনো জানি না।’ তিনি জানান, হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৫-১৬ জন রোগী বাইরে থেকে এমআরআই যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করাচ্ছেন।
জানতে চাইলে হাসপাতালের উপপরিচালক দেবপদ রায় প্রথম আলোকে বলেন, এমআরআই যন্ত্রটি অনেক দিন ধরে নষ্ট হয়ে রয়েছে। নতুন যন্ত্রের জন্য হাসপাতালের পরিচালক মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। গত বুধবারও এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুরোনো যন্ত্রটি আর মেরামত হবে না। হাসপাতালের জন্য নতুন এমআরআই যন্ত্র আনা হবে। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জানা গেছে, খুব শিগগিরই যন্ত্রটি হাসপাতালে আনা হবে।