ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে নারীর আত্মহত্যা, ছেলে–মেয়ে আহত
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে স্বামীর ওপর অভিমান করে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে নয়নতারা বেগম (৩০) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে দৌলতপুর রেলস্টেশনের পাশে এ ঘটনায় ওই নারীর দুই সন্তান আহত হয়েছে।
নিহত নয়নতারার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ছয় বছর আগে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত হানিফ শেখের মেয়ে নয়নতারা বেগমের সঙ্গে পাশের মেইয়া গ্রামের ওয়াহাব আলীর ছেলে লিটন মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। গতকাল সন্ধ্যায় দুজনের ঝগড়া হয়। পরে লিটনের কাছে ভরণপোষণ চান স্ত্রী নয়নতারা। কিন্তু লিটন তা দিতে অস্বীকার করলে তিনি তাঁর মেয়ে লিজা (৪) ও ছেলে ইয়াছিনকে (২) নিয়ে বাড়ির পাশে রেললাইনে অপেক্ষা করতে থাকে। রাতে ময়মনসিংহগামী ধলেশ্বরী ট্রেনটি এলে নয়নতারা দুই শিশুসন্তানকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ সময় নয়নতারা বেগমের দুই পা ট্রেনে কাটা পড়ে। দুই শিশু গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয় লোকজন ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে এলে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সাহেদুর রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাতেই সরিষাবাড়ী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলমগীর হোসেন নিহত নয়নতারার লাশ উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
নিহত নয়নতারার বড় ভাই আলমাছ শেখ জানান, তাঁর বোন নয়নতারা স্বামীর ওপর অভিমান করে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
সরিষাবাড়ী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) আলমগীর হোসেন বলেন, রেললাইন থেকে নয়নতারা (৩০) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।