গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে অসহায় ও শীতার্ত ২০০ মানুষকে কম্বল দেওয়া হয়েছে। বুধবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়। একই সঙ্গে প্রত্যেককে একটি করে মাস্ক দেওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে হলদিয়া ইউনিয়ন। ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা ভাঙনকবলিত। প্রতিবছর নদীতে আবাদি জমি ভেঙে চর জেগে উঠছে। যমুনার তীরবর্তী এসব গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ গরিব ও অসহায়। কম্বল পেয়ে হলদিয়া ইউনিয়নের দঘিলকান্দি গ্রামের আবেদা বেগম বলেন, ‘তিন বচর থাকি কোনো কম্বল পাই নাই। আজক্যা একনা কম্বল পানো। ছোট নাতিটা শীতের কষ্টে নিন (ঘুম) পারব্যার পায় না। অ্যাজকা রাইতোত নাতিটাক নিয়্যা নিন পারব্যার পামো।’
কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) নূর আলম সিদ্দিক, সাঘাটা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রজব আলী, স্থানীয় সমাজকর্মী আবদুর রশিদ, গাইবান্ধা প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি মিল্লাত হোসাইন, সহসভাপতি জিয়াউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান মাসুদ ও হাসান ইমাম, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক রিপন আকন্দ, প্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম, প্রথম আলোর প্রতিনিধি শাহাবুল শাহীন প্রমুখ।
হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাকিল মণ্ডল বলেন, এখানকার দরিদ্র মানুষ দুই বেলা ঠিকমতো খেতে পারে না, তাঁদের জন্য গরম কাপড় কেনা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। প্রথম আলো দায়িত্বের বাইরে মানবিক কাজগুলো করছে। বিশেষত শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সব পত্রিকারই এমন কাজে এগিয়ে আসা উচিত।
হলদিয়া ইউনিয়নের দঘিলকান্দি গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী আমিনুল মিয়া শীতের কম্বল পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। অনুভূতি প্রকাশ করলেন এভাবে—‘না খ্যায়্যা এ্যাকবেলা থাকান যায়। কিনতো জারের (শীত) কষ্টে আইতোত নিন (ঘুম) ধরে না। ট্যাকার অভাবোত চাউল কিনব্যার পাইনে, শীতের কাপড়া কিনমো ক্যামন করি। একাত-ওকাত হয়্যা আইত কাটাই। আজক্যা পোত্তম (প্রথম) আলোর কম্বলকোনা প্যায়্যা ভালো হলো। আইতোত গাওত দিয়া আরামকরি নিন (ঘুম) পারব্যার পামো।’
শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে। হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল
হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।
অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে।