টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সেই দুই জাহাজের চলাচল শুরু
উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি পারিজাত ও এমভি দোয়েল পাখি-১ নৌযান চলাচলে অনুমতি দিয়েছে আদালত। ১৭ দিন পর আজ বুধবার সকালে ৪৭৪ জন পর্যটক নিয়ে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন গেছে জাহাজ দুটি।
তথ্যটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ নৌ বন্দরের ট্রাফিক কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এ দুটি জাহাজের চলাচলে এখন কোনো বাধা নেই। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অফিস স্মারকে এমভি পারিজাত ও এমভি দোয়েল পাখি-১ জাহাজ দুটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে চলাচলে অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এমভি পারিজাত ও এমভি দোয়েল পাখি-১ এর পরিচালক ও বে অব বেঙ্গল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফায়েল আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, কিছু কুচক্রী মহল এমভি পারিজাত ও এমভি দোয়েল পাখি-১ জাহাজ দুটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। চলাচলের আদেশ পাওয়ার পর বুধবার থেকে জাহাজ দুটি চলাচল শুরু করেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ নৌপথে জাহাজ চলাচল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আদালতের আদেশে জাহাজ দুটি পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন গেছে বলে টেকনাফ নৌ বন্দরের ট্রাফিক কর্মকর্তার মাধ্যমে শুনেছি।’
টেকনাফ নৌ বন্দর সূত্র জানায়, টেকনাফের হ্নীলার দমদমিয়া ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথে গত ১ নভেম্বর থেকে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, আটলান্টিক ক্রুজ, এমভি ফারহান, কেয়ারি সিন্দাবাদ, এমভি দোয়েল পাখি-১, গ্রীন লাইন-১, বে-ক্রুজ, এমভি পারিজাত ও এমভি শহীদ সালাম নামে নয়টি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করে আসছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন এ জাহাজগুলোকে আগামী বছরের ৩০ মার্চ পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেন। বিচারপতি হাসান ফয়েজ ছিদ্দিকির বেঞ্চের আদেশের প্রেক্ষিতে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৭ দিন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ দুটির পর্যটক পরিবহন বন্ধ ছিল।