২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

টিসিবির পণ্য কালোবাজারি: বাগেরহাটে ২ নেতা বহিষ্কার

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে বাগেরহাটের চিতলমারীতে ক্ষমতাসীন দলের দুই নেতাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁদের একজন আওয়ামী লীগ নেতা এবং অন্যজন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।


এই দুজন হলেন চিতলমারীতে টিসিবির ডিলার ও উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. মিলন মাঝি। মিলন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের সহকারী এবং ‘সাবডিলার’ হিসেবে পরিচিত।

গতকাল বিকেলে চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বাবুল হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায় স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জাহাঙ্গীরকে সাময়িক বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় প্যাডে দেওয়া ওই পত্রে বলা হয়েছে, করোনা দুর্যোগের এই সময়ে দল ও সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানকে তোয়াক্কা না করে জাহাঙ্গীর আলম টিসিবির পণ্য কালোবাজারে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাঁকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো। কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সাত দিনের মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পৃথক পত্রে স্বেচ্ছাসেবক লীগ তাদের চিতলমারী উপজেলার আহ্বায়ক মো. মিলন মাঝিকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, যুগ্ম আহ্বায়ক সরদার আবদুল কাদের ও বিশ্বজিৎ সরকার স্বাক্ষরিত পত্রে কেন তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সাত দিনের মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার চিতলমারী উপজেলা সদরের আবির স্টোর নামের একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে টিসিবির ৯২ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। ওই ঘটনায় দোকানের মালিক কাজী ইসমাইল হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।


করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিপর্যস্ত মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে তেল, পেঁয়াজ, লবণসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেয় সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবি। অভিযোগ ওঠে, অবৈধভাবে টিসিবির ডিলার ওই ভোজ্যতেল কালোবাজারে বেশি দামে বিক্রি করে দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর আবির স্টোরের মালিক ও কর্মচারী দাবি করেন, তাঁরা এই তেল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মিলন মাঝির কাছ থেকে কিনেছিলেন।