২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ঝুমনের অপেক্ষায় পরিবার, মুক্তি মিলতে পারে কাল

ঝুমন দাশের মুক্তির অপেক্ষায় তাঁর স্ত্রীসহ পরিবার
ফাইল ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সুনামগঞ্জের ঝুমন দাশ (২৫) গত বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও এখনো কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। জামিন আদেশের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত সুনামগঞ্জে না আসায় মুক্তির প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।

এদিকে জামিনের খবর পাওয়ার পর থেকে শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে ঝুমনের স্বজনেরা অপেক্ষায় আছেন। আজ দুপুরে মুঠোফোনে ঝুমন দাশের মা নিভা রানী দাশ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা মনে করেছিলেন বৃহস্পতিবারই ঝুমন ছাড়া পাবেন। কিন্তু পরে জানতে পারেন ঢাকা থেকে কাগজপত্র না আসায় মুক্তি মিলছে না। আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার কারাগার থেকে ঝুমনের মুক্তি মিলতে পারে।

নিভা রানী দাস বলেন, ‘মায়ের মন তো, কত কিছু মনে অয়, ভয় করে। তবু আশায় আছি।’

সুনামগঞ্জে ঝুমন দাশের আইনজীবী দেবাংশু শেখর দাশ জানান, মাঝে দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি গেছে। রোববার ঢাকা থেকে ডাকযোগে আদেশের কপি ছাড়লে সোমবার সুনামগঞ্জে আসবে। উচ্চ আদালত থেকে ঝুমন দাশের জামিন আদেশের কাগজপত্র সুনামগঞ্জে আসার পরই সংশ্লিষ্ট আদালতে জমা দেওয়া হবে। এরপর আদালতের আদেশ কারাগারে গেলেই ঝুমন দাশ মুক্তি পাবেন। এটাই আইনি প্রক্রিয়া।

বাড়িতে ঝুমন দাশের মা, স্ত্রী, এক বছর বয়সী ছেলে, এক ভাই ও দুই বোন আছেন। ঝুমন দাশের আয়েই সংসার চলে। কিন্তু ঝুমন প্রায় ছয় মাস ধরে কারাগারে আছেন। এতে বিপাকে রয়েছে পরিবারটি। ঝুমন দাশ প্রসাধনসামগ্রী বিক্রি করে সংসার চালাতেন। তাঁর স্ত্রী সুইটি রানী দাশ সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্রী।

গত ১৬ মার্চ হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ঝুমনের বিরুদ্ধে। ওই দিন রাতেই ঝুমনকে লোকজন পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

১৭ মার্চ সকালে ঝুমনের গ্রাম নোয়াগাঁও ও আশপাশের তিনটি গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে মানুষের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। ১৭ মার্চ ঝুমনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

২২ মার্চ শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম ঝুমনের বিরুদ্ধে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত ঝুমনকে কিছু শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন।