ঝালকাঠিতে করোনায় তিনজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৫৬

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনজন মারা গেছেন। এ সময়ে জেলায় ১৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ বুধবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন নলছিটির দুলাল কান্তি, ঝালকাঠি শহরের বানিয়াপট্টি এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন ও কৃষ্ণকাঠি দত্তবাড়ি এলাকার প্রদীপ কুমার দত্ত।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঝালকাঠি জেলার ২৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫৩ শতাংশ। জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনা থেকে ১ হাজার ৩৯০ জন সুস্থ হয়েছেন এবং করোনায় মারা গেছেন ৪৪ জনের।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত মাত্র আটজন ভর্তি আছেন। হাসপাতালে আইসিইউ ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ করোনা রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বেশি জটিল রোগীদের বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিনা মূল্যে বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করছে। অনেকের আবার উপসর্গ থাকলেও পরীক্ষা করাচ্ছে না।

লকডাউনেও বাইরে বের হচ্ছে মানুষ
কঠোর লকডাউনের মধ্যেও মানুষ নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছে। এতে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাচ্ছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ মনে করছে। প্রশাসন জরিমানা ও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েও মানুষের ঘর থেকে বের হওয়া ঠেকাতে পারছে না।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী বলেন, ঝালকাঠিতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ধরন এখনো পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। তবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গ দেখে তা ডেলটা ভেরিয়েন্ট বলে মনে হচ্ছে। করোনা থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে সরকারি নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে মাস্ক পরতে হবে।