জিজ্ঞাসাবাদেই আটকে আছে মামলার তদন্ত

থানা-পুলিশের পর তিন মাস ধরে মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। এখনো হত্যাকারীকে শনাক্ত করা যায়নি

বগুড়ার শিবগঞ্জের একটি নদের পাড় থেকে স্বাধীন শেখ (৭) নামের শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনার পাঁচ মাস চলে গেছে। ময়নাতদন্তে চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও হত্যাকারীকে শনাক্ত করতে পারেনি। পাঁচ মাসে শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কয়েকজনকে।

স্বাধীন উপজেলার কিচক ইউনিয়নের বেলতলী হাফেজিয়া মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র ছিল। সে উপজেলার আমতলী মাঝপাড়া (জাহাঙ্গীরাবাদ) গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। গত ১৭ জানুয়ারি মাদ্রাসার পাশের গাংনাই নদের পাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। বর্তমানে এ ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির বগুড়া কার্যালয়ের পরিদর্শক ফুয়াদ রুহানি বলেন, স্বাধীন হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে সাত থেকে আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মামলার বাদী ও শিশুটির বাবা শাহ আলম কয়েকজনের নাম বলেছেন। তাঁদের এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে ফুয়াদ রুহানি বলেন, তদন্তে এখনো কোনো অগ্রগতি নেই। কবে তদন্ত শেষ হবে, সেটা বলার সময় আসেনি। পুলিশ চেষ্টা করে যাচ্ছে।

এদিকে পাঁচ মাসেও অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন স্বাধীনের বাবা শাহ আলম। তাঁর অভিযোগ, লাশ উদ্ধারের আগের দিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত অধ্যক্ষসহ তিনজন মাদ্রাসাতেই ছিলেন। তাদেরও মামলায় আসামি করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ কৌশলে এজাহারে স্বাক্ষর নিয়ে তাঁদের আসামি করেনি।

স্বাধীন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শাহ আলম মামলা করেন ১৮ জানুয়ারি। বাদীর ভাষ্য, স্বাধীনের নিখোঁজের দিন হেফজখানায় প্রায় ৩০ শিক্ষার্থী ছিল। অধ্যক্ষের পাশাপাশি এ সময় বাবুর্চি ও ক্যাশিয়ার মাদ্রাসায় ছিলেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে স্বাধীন শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে হেফজখানা থেকে বের হয়। এরপর আর ফিরে আসেনি। সারা রাত সে নিখোঁজ থাকলেও মাদ্রাসা থেকে বিষয়টি পরিবারকে জানানো হয়নি। শাহ আলমের অভিযোগ, স্বাধীন হয়তো অনৈতিক কিছু দেখে ফেলেছিল। এ কারণে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।