জায়গার অভাবে সরকারি খাদ্য সংগ্রহ ব্যাহত
গত ১ মে সরকারি ক্রয় অভিযান শুরু হয়েছে। কিন্তু গত বুধবার পর্যন্ত চাল সংগ্রহ হয়েছে ৭ হাজার ২০০ টন।
দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ খাদ্যগুদামে জায়গার অভাবে সরকারি চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে সংগ্রহ অভিযান। চাল দিতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন মিলাররা।
খাদ্য কর্মকর্তা সূত্রমতে, সেতাবগঞ্জ সরকারি খাদ্যগুদামে ১৬ হাজার ১২০ টন চাল, ১ হাজার ৮২ টন ধান এবং ২৮১ টন গম সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। গুদামে চালের ধারণক্ষমতা ৭ হাজার ২০০ টন। কিন্তু ৭ হাজার ২০০ টন চাল রাখার পর গুদামে আর জায়গা নেই। এদিকে ধান ১ হাজার ৮২ টন কেনার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও পাওয়া গেছে মাত্র ১৫ টন এবং গম মৌসুমে কেনা রয়েছে ২৮১ টন গম।
সেতাবগঞ্জ খাদ্যগুদামে ১ হাজার টন ধারণক্ষমতার দুটি এবং ৫০০ মেট্রিক টনের ছয়টি গুদাম রয়েছে। যার ধারণক্ষমতা হলো ৭ হাজার ২০০ টন চাল, ১ হাজার ৮২ টন ধান আর ২৮১ টন গম।
সরকারি বরাদ্দ মোতাবেক চলতি মৌসুমে বোচাগঞ্জ উপজেলার ২৮০ জন চালকলের মালিক চাল দেওয়ার জন্য খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তি মোতাবেক ২৪৯টি সাধারণ চালকলের মালিক ৪ হাজার ১৪১ মেট্রিক টন এবং ৩১টি স্বয়ংক্রিয় চালকলের মালিক ১১ হাজার ৯৮৬ মেট্রিক টন চাল গুদামে সরবরাহ দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
কিন্তু গুদামে জায়গার অভাব চলছে শুরু থেকেই। গত ১ মে সরকারি ক্রয় অভিযান শুরু হয়েছে। কিন্তু গত বুধবার পর্যন্ত চাল সংগ্রহ হয়েছে ৭ হাজার ২০০ টন। চালকলে চাল প্রস্তুত করে রেখে গুদামে ঢোকানোর চেষ্টা করেছেন মিলাররা। কিন্তু জায়গার অভাবে তাঁরা ব্যর্থ হচ্ছেন। এতে আর্থিকভাবে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন মিলমালিকেরা।
বোচাগঞ্জ জহুরা স্বয়ংক্রিয় চালকলের মালিক আবদুল হান্নান বলেন, ‘গুদামে প্রয়োজনীয় জায়গা না থাকায় আমি চাল নিয়ে বিপাকে পড়েছি এবং চালকলে চাল ফেলে রেখে বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
একই ধরনের কথা বলেন, বোচাগঞ্জ সোনালী অটো রাইস মিলের মালিক আকিল আহমেদ ও ডিএন অটো রাইস মিলের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বোচাগঞ্জ ভারপ্রাপ্ত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. নুরন্নবী বলেন, গুদামের চাল বাইরে গেলেই জায়গা খালি হবে। চালের একটি চলাচল সূচি পাওয়া যাচ্ছে। এতে গুদামে জায়গা হবে এবং চালকলের মালিকেরা চাল দিতে পারবেন শিগগিরই।