জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলার রায়ে একজনের যাবজ্জীবন

মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ঘোষণার পর আসামিদের আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হয়। ছবিটি মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটার দিকে তোলা।
ছবি: প্রথম আলো

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও জনপ্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আদালত একজনকে চার বছরের কারাদণ্ড ও বাকি চারজনকে খালাস দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ নুরুল আমীন বিপ্লব এই রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামি হলেন ফয়জুল। তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ মামলায় ফয়জুলের বন্ধু সোহাগ মিয়াকে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এ ছাড়া অপর চার আসামি ফয়জুলের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফয়জুল হক ও ভাই এনামুল হাসানকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মুমিনুর রহমান এক আসামির যাবজ্জীবন, একজনের চার বছরের কারাদণ্ড ও চারজনের খালাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকেলে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর ছুরি দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই সময় তিনি মাথা ও ঘাড়ে ছুরিকাহত হন। হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থী ও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফয়জুলকে আটক করে।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ফয়জুলকে প্রধান আসামি করা হয়। পাশাপাশি ফয়জুলের বন্ধু সোহাগ মিয়া, বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফয়জুল হক ও ভাই এনামুল হাসানকে আসামি করা হয়।

২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর এই মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। তার আগে ২৬ জুলাই ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম। গত ১০ মার্চ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলায় ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।