২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাওয়া প্রান্তে ফলক উন্মোচনের পর সেতু পেরিয়ে তিনি আসবেন জাজিরা প্রান্তের টোলপ্লাজায়। সেখানে কয়েকটি স্থাপনার উদ্বোধন করে যাবেন শিবচরের কাঁঠালবাড়িতে জনসভায়। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেতু বিভাগের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা। এসব কাজ পরিদর্শন করেছেন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সচিব, আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, জাজিরা প্রান্তের নাওডোবায় টোলপ্লাজা। দক্ষিণের ২১ জেলার যানবাহন জাজিরা প্রান্তের টোলপ্লাজায় টোল পরিশোধ করে সেতুতে উঠবে। জাজিরা প্রান্তের টোলপ্লাজার সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে। তার পাশে ফোয়ারা, তার ওপর ইলিশের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে জাজিরা প্রান্তের টোলপ্লাজার সামনে দেখা যায়, সেতু বিভাগের কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও শ্রমিকেরা শেষ সময়ের কাজ গোছাচ্ছেন। এসব কাজ পরিদর্শন করেন শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন, শরীয়তপুর–৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এস এম আশ্রাফুজ্জামান।
এ কে এম এনামুল হক শামীম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের আবেগ আর ভালোবাসার স্থাপনা। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে সব শ্রেণি–পেশার মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস আর আনন্দ কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় সাহসিকতায় অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করার জন্য আমরা দক্ষিণের মানুষ প্রস্তুত। তাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি কার্যক্রমের খোঁজ নিয়মিত রাখতে হচ্ছে।’
পদ্মা সেতু প্রকল্পের (সেতু বিভাগের) সহকারী প্রকৌশলী পার্থ সারথি বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, জাজিরা প্রান্তের টোলপ্লাজার সামনে প্রধানমন্ত্রী যেসব স্থাপনা উদ্বোধন করবেন, তার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ধোয়া-মোছার কাজ। সেতু চালু হওয়ার পর টোলপ্লাজার সামনে নির্মাণ করা দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল, ভাস্কর্য ও ফোয়ারা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তখন সেতু দেখতে আসা মানুষ এখানে কিছুটা সময় কাটাতে পারবেন।