জলঢাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ওষুধের দোকান বন্ধ ঘোষণা
নীলফামারীর জলঢাকায় ড্রাগ সুপার ও এসি ল্যান্ডের অপসারণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ওষুধের দোকান বন্ধ ঘোষণা করেছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার সব ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বুধবার বিকেলে উপজেলা শহরের অনিন্দ্য মেডিকেল হল নামের একটি ওষুধের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া। ওই ওষুধের দোকানের স্বত্বাধিকারী বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির (বিসিডিএস) জলঢাকা উপজেলা সভাপতি মো. মাহবুবার রহমান।
নীলফামারী ড্রাগ সুপার কাজী মো. ফরহাদ বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে মেয়াদোত্তীর্ণ, চিকিৎসকের স্যাম্পল ও অননুমোদিত ওষুধ পাওয়া গেছে। এসব অপরাধে ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসি ল্যান্ড বিসিডিএস জলঢাকা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের হুমকি এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন বলে ওষুধ ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে মো. মাহবুবার রহমান বলেন, কয়েক দিন আগে ড্রাগ অধিদপ্তরে কিছু ওষুধ ব্যবসায়ীর নামে তিনি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। ওই ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কোম্পানির নকল ওষুধ বাজারজাত করছেন। ওই অভিযোগের ব্যবস্থা না নিয়ে ড্রাগ সুপার এসি ল্যান্ডের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে প্রায় চার ঘণ্টা তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালান। এ সময় তাঁর এক কর্মচারীকে মারধর করেন এবং বিসিডিএস জলঢাকা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের হুমকি এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন।
এর প্রতিবাদে এবং জলঢাকা এসি ল্যান্ড ও ড্রাগ সুপারের অপসারণের দাবিতে উপজেলার ওষুধ ব্যবসায়ীরা মিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ওষুধের দোকান বন্ধ ঘোষণা করেছেন। কাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান মাহবুবার রহমান।