জব্দ চাল দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণের আদেশ আদালতের
জয়পুরহাটের কালাইয়ে জব্দ করা ৪ হাজার ২৩০ কেজি ভিজিএফ-ভিজিডির চাল দরিদ্র, বিধবা ও বয়স্ক মানুষের মধ্যে বিতরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ রব হাওলাদার আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল আজ সন্ধ্যায় আদেশের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। প্রায় দুই বছর আগে চালগুলো জব্দ করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে থানা-পুলিশ উপজেলার বেগুনগ্রামের মোকছেদুল ও বালাইট গ্রামের কাশেমের গুদামঘরে অবৈধভাবে রাখা ৪ হাজার ২৩০ কেজি ভিজিএফ এবং ভিজিডির চাল জব্দ করে। এ ঘটনায় ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। পরে তাঁরা আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান।
জব্দ করা চাল কালাই উপজেলা প্রশাসনের জিম্মায় দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন গুদামে আটকে থাকায় চালের মান নষ্ট হচ্ছিল। কালাই ইউএনও জব্দ করা চালের বিষয়ে লিখিতভাবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে জানান। জেলা প্রশাসক আজ মঙ্গলবার জব্দ করা চালের বিষয়ে আদেশ চেয়ে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ রব হাওলাদারের কাছে আবেদন করেন।
জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, জেলা প্রশাসকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ রব হাওদার আজ জব্দ করা ৪ হাজার ২৩০ কেজির মধ্যে বিচারকার্যের জন্য নমুনা চাল রেখে বাকি চাল কালাই উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে দরিদ্র, বিধবা ও বয়স্ক মানুষের মধ্যে বিতরণের আদেশ দিয়েছেন।
এ সময় জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসকের বক্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। কালাই ইউএনও মোবারক হোসেন বলেন, জব্দ চালগুলো বিতরণের জন্য আদালত আদেশ দিয়েছেন। আদালতের আদেশ মোতাবেক চালগুলো বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।