চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ
ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আবদুর রহিম মিয়া নামের ওই প্রার্থী।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রহিম ঝালকাঠি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পরে তিনি দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ঝালকাঠির ৩১টি ইউপির নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল।
লিখিত অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলনে আবদুর রহিম বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে সদর উপজেলা পরিষদের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শুক্কুর মোল্লার ছেলে রাহাত মোল্লা, র্যাভেন মোল্লাসহ অজ্ঞাতনামা ৮–১০ জন রহিম মিয়াকে লাঞ্ছিত করেন। তাঁরা জীবননাশের হুমকি দিয়ে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেন। এ সময় রহিম মিয়ার কয়েকজন সমর্থক বাধা দিলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। কিছুক্ষণ পরে কীর্ত্তিপাশার গণ্যমান্য ব্যক্তি আবদুর রহমান, মকিম মিয়া, হাফিজুর রহমানদের চাপে কিছু কাগজপত্র রেখে মনোনয়নপত্র ফেরত দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুর রহিম মিয়া ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আবদুস শুক্কুর মোল্লা। এ বছরের ইউপি নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পান আবদুস শুক্কুর মোল্লা। আবদুর রহিম মিয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
রহিম মিয়া অভিযোগ করেন, ‘বর্তমান চেয়ারম্যান শুক্কুর মোল্লার ছেলেরা আমাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হুমকি দিচ্ছে। আমি যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি তাহলে তারা আমাকে হত্যা করতে পারে। তাই আমি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছি।’
অভিযোগের বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুস শুক্কুর মোল্লা বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তাঁর বড় ছেলে রাহাতের সঙ্গে রহিম মিয়ার কথা–কাটাকাটি হয়। এরপর শুক্কুরের ছোট ভাই মাহফুজুর রহমান পুলিশ পরিদর্শক আবদুল হালিম তালুকদারের সামনে সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি। জীবননাশের হুমকির অভিযোগ সত্য নয়।
ঝালকাঠি সদর থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম বলেন, আবদুর রহিম মিয়ার লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।