২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

চিলের ছোবলে মৌমাছির কবলে মা ও দুই মেয়ে

মৌমাছির কবলে পড়ে মা ও দুই মেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
ছবি: মুক্তার হোসেন

চিল ছোবল মারে তেঁতুলগাছের মৌচাকে। ক্ষুব্ধ মৌমাছির দল তেড়ে গিয়ে হানা দেয় গাছের নিচে থাকা তিনটি ছাগলকে। ছাগলগুলো রক্ষায় এগিয়ে এলে মৌমাছির দল এক গৃহবধূকে ঘিরে ধরে। গৃহবধূর চিৎকারে ছুটে আসেন তাঁর দুই মেয়ে। এমন অবস্থায় তিনজনকেই হুল ফুটিয়ে দেয় মৌমাছির দল। পরে অসুস্থ অবস্থায় মা ও দুই মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের লালপুর উপজেলার নাগশোষা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৌমাছির হুলের বিষক্রিয়ায় তিনটি ছাগল মারা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে চার শিশু। তারা হলো আশা খাতুন (১২), সোমা খাতুন (১৫), খুশি খাতুন (১৪) ও রান্টু (১২)। তারা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাগশোষা গ্রামের কুদরত আলীর স্ত্রী আজমিরা বেগম (৪০) বলেন, মৌমাছির দল তাঁকে ঘিরে ধরে ১৫ থেকে ২০টি হুল ফুটিয়ে দেয়। তিনি চিৎকার দিলে তাঁর দুই মেয়ে কল্পনা খাতুন (১৮) ও কণা খাতুন (১২) এগিয়ে আসে। মৌমাছিরা দুই মেয়েকেও নির্বিচারে হুল ফুটিয়ে দেয়। এতে তাঁরা অচেতন হয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন আগুন জ্বালিয়ে মৌমাছির দলকে তাড়িয়ে দেয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, তিনজনের শরীরে মৌমাছির হুল ফোটানোর জখম আছে। তাঁদের তিনজনেরই চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে কল্পনা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।