‘চিন্তাও করিনি ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারব’
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুর বাংলাবাজার নৌপথে গত কয়েক দিন ঈদে ঘরমুখী মানুষের ঢল ছিল। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘাটের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই। যাত্রীরা আসার পরপরই ফেরিতে উঠতে পারছেন।
ফেরিতে উঠতে পেরে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন কয়েকজন যাত্রীও। রাইসুল ইসলাম নামের পটুয়াখালীগামী এক যাত্রী বলেন, ‘চিন্তাও করিনি ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারব। ফেরিতে উঠতে পেরে কী যে আনন্দ লাগছে, সেটা ভাষায় বলা যাবে না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘাটের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, আজ বাদে কাল ঈদ। কোনো যাত্রীর যেন ভোগান্তি না হয়, তাই ঘাট দিয়ে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো.হিলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, গত কয়েক দিন এই ঘাটে যাত্রীদের মারাত্মক ভিড় থাকলেও আজকে অনেকটাই স্বাভাবিক। ঘাটে যাত্রীদের কোনো চাপ নেই। তাঁরা আসার পরই ফেরিতে উঠতে পারছেন। তিনি আরও বলেন, ঈদের আগের দিন ঘাটে যেমন চাপ থাকার কথা, তেমনটা নেই। ঘাটের অবস্থা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
জুবাইদা বেগম নামে এক যাত্রী বলেন, তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। ঈদের ছুটি পেয়েছেন। দুদিন আগেও তিনি ভেবে পাচ্ছিলেন না কীভাবে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। মা–বাবার সঙ্গে ঈদ করবেন। আজকে সকালে তিনি ঘাটে চলে এসেছেন। সৌভাগ্যবশত ফেরিতে জায়গা পেয়েছেন। এতে বেজায় খুশি তিনি।
একইভাবে উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন বরিশালগামী যাত্রী রুবেল, খুলনার তৈয়ব আলী, জাহানারা বেগমেরা। তবে যাত্রীরা বলেন, ছোট গাড়িতে ঘাটে আসতে তাঁদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার যান চালু থাকলে সুবিধা হতো বলে জানান তাঁরা।
কয়েক দিন ধরে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে ঈদের ছুটিতে দক্ষিণবঙ্গগামী জেলার মানুষ বাড়ির দিকে ছুটছেন। যখনই একটি ফেরি ঘাটে ভিড়েছে, তাতে হুমড়ি খেয়ে যাত্রীরা উঠেছেন। শিমুলিয়া ঘাটের যাত্রীদের চাপে বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা যাত্রীরা ফেরি থেকেও নামতে পারেননি। সে তুলনায় আজ পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সচেতনতা দেখা যায়নি।