চিনিশিল্প ‘বাঁচাতে’ আখচাষি-চিনিকল সংগ্রাম পরিষদ গঠন
দেশের চিনিশিল্প ‘বাঁচাতে’ ৪৫ সদস্যের আখচাষি-চিনিকল সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে নাটোরের এনএস কলেজ মিলনায়তনে ১৫টি চিনিকলের আখচাষি ও শ্রমিক–কর্মচারীদের প্রতিনিধি সভা শেষে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটি গঠন শেষে সভায় ঘোষণা দেওয়া হয়, চিনিকল খুলে দেওয়ার দাবি না মানা হলে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি শ্রমিক, কর্মচারী ও আখচাষিরা ঢাকায় শহীদ মিনারে অবস্থান নেবেন।
আখ চাষী সমিতি, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন ও চিনিকল শ্রমিক–কর্মচারীদের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী–২ (সদর) আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা। এতে উপস্থিত ছিলেন কৃষকনেতা আমিনুল ইসলাম, শ্রমিকনেতা কামরুল হাসান, আইনজীবী লোকমান হোসেন, সিংড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সভায় অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিলকে সমন্বয়ক ও সাইফুল ইসলামকে যুগ্ম সমন্বয়ক করে ৪৫ সদস্যবিশিষ্ট আখচাষি-চিনিকল সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।
দেশের ৩ লাখ একর জমিতে আখের উৎপাদন হয়। এর সঙ্গে ১০ লাখ কৃষক ও ১ কোটি খেতমজুর জড়িত। তাঁদের কথা না ভেবে সরকার চিনিশিল্প নিয়ে বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ ফজলে হোসেন বলেন, দেশের ৩ লাখ একর জমিতে আখের উৎপাদন হয়। এর সঙ্গে ১০ লাখ কৃষক ও ১ কোটি খেতমজুর জড়িত। তাঁদের কথা না ভেবে সরকার চিনিশিল্প নিয়ে বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তিনি বলেন, আধুনিকায়ন ও বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে নাটোরের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল ও ঠাকুরগাঁ সুগার মিলকে যথাক্রমে ৩২৪ ও ৪২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার জন্য একনেক অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু সরকার হঠাৎ করে কিছু চিনিকলে আখ মাড়াই না করার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে সেসব চিনিকলের শ্রমিক–কর্মচারী ও আখচাষিরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
ফজলে হোসেন বলেন, সরকারকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে হবে। অবিলম্বে বন্ধ চিনিকল চালু ও চালু চিনিকলগুলো বন্ধ না করার আহ্বান জানান এই সাংসদ। সরকার এ দাবি না মানলে তাঁরা রাজপথে নামবেন বলেও তিনি ঘোষণা দেন।