চালকের চোখে ঘুম, প্রাইভেট কার উল্টে প্রাণ হারালেন স্বামী-স্ত্রী
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় প্রাইভেট কার উল্টে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের দুপচাঁচিয়া সদরের তিশিগাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা ময়নুল আহসান (৭৪) ও তাঁর স্ত্রী রওশন আরা বেগম (৬৫)। নিহত ব্যক্তিরা রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌলি মণ্ডলের শ্বশুর-শাশুড়ি বলে জানা গেছে। ময়নুল আহসান রাজশাহী সুগার মিলের অবসরপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুঠোফোনে মৌলি মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি একটি প্রাইভেট নিয়ে ঢাকা থেকে নওগাঁয় যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় তাঁর শাশুড়ি ঘটনাস্থলেই এবং তাঁর শ্বশুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
পুলিশ জানায়, প্রাইভেট কারে ময়নুল আহসান ও তাঁর স্ত্রী ঢাকা থেকে নওগাঁয় যাচ্ছিলেন। সকালের দিকে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে প্রাইভেট কারটি রাস্তার পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এতে গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই ময়নুল আহসানের স্ত্রী রওশন আরা নিহত হন।
দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু কালাম আজাদ বলেন, পরে ময়নুল আহসান ও গাড়ির চালককে উদ্ধার করে প্রথমে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে তাঁদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল নয়টার দিকে নাজমুল আহসান মারা যান। রওশন আরার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামসুন নাহার প্রথম আলোকে বলেন, সকাল আটটার দিকে নাজমুল আহসান ও প্রাইভেট কারের এক চালককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এ সময় ওই চালক চিকিৎসকদের জানান, ঢাকা থেকে রাত জেগে গাড়ি চালিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার কারণে তিনি ক্লান্ত অনুভব করছিলেন। একপর্যায়ে তিনি চালকের আসনে বসে ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন। এতে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এরপর আর তাঁর কিছু মনে নেই।