চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা শনাক্তের হার কমছে, এটি স্বস্তির: ডিসি

রাজশাহী থেকে আসা কুরিয়ারের মাল মোটরসাইকেলে করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দিতে এসেছিলেন এক কর্মী। কিন্তু লকডাউনের কারণে তাঁকে জেলায় ঢুকতে দেননি পুলিশ সদস্যরা
আনোয়ার হোসেন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউনের পঞ্চম দিন আজ শনিবার শহরের রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। প্রশাসন আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে। শহরের প্রবেশপথগুলোয় রয়েছে পুলিশের কড়া তৎপরতা। শহরের দিকে আসা মোটরসাইকেলচালকদেরও ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পথচারীদেরও পড়তে হচ্ছে পুলিশি জেরার মুখে। খাদ্যদ্রব্যের দোকান ছাড়া প্রায় সব দোকান বন্ধ।

জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পাঠানো করোনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে ১১৩টি নমুনার মধ্যে ৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৫১। কয়েক দিন আগে এই হার ছিল ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ। শনাক্তের হার কমে আসছে, এটি স্বস্তির ব্যাপার।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য যে ৪২টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে সাতজনের শরীরে করোনার ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে। তবে ওই সাতজনের নাম-ঠিকানা এখনো প্রশাসনের হাতে আসেনি। তবে যে ৪২ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করেছে প্রশাসন। গতকাল চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে চারজন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসন আরও সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে জেলা প্রশাসন আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলে তিনি জানান। জেলায় ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন।

যানবাহন না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রবেশ করছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার দ্বারিয়াপুরে
প্রথম আলো

ঈদের পর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি চলছিল। লকডাউন ঘোষণার আগে এক সপ্তাহে সংক্রমণের হার ছিল প্রায় ৫৯ শতাংশ। অন্যদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করোনার রোগীর বেশির ভাগই চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার। সীমান্তপথে অবৈধ চলাচলে করোনার ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ মে দুপুরে করোনা প্রতিরোধ জেলা কমিটির জরুরি সভায় জেলাব্যাপী সাত দিনের লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়।