চাঁদপুরে পৃথক ঘটনায় নদীতে ডুবে শিশুসহ দুজন নিখোঁজ
চাঁদপুরে বিয়ের যাত্রী নিয়ে ট্রলারডুবিতে প্রিয়ান্তি নামের পাঁচ বছরের এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। এ সময় ওই ট্রলারে থাকা আরও ৩৯ যাত্রী নদীতে ডুবে গেলেও প্রাণে রক্ষায় পান। এদিকে মতলব উত্তরের মোহনপুরে লঞ্চে করে পিকনিকে এসে মেঘনা নদীতে ডুবে সাজ্জাত হোসেন নামের ২০ বছরের এক তরুণ নিখোঁজ হয়েছেন। পৃথক দুটি ঘটনা গতকাল রোববার বিকেলে ও রাতে ঘটলেও আজ সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুর নৌ পুলিশ সুপার ফরিদুল ইসলাম এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রতন চন্দ্র দাস বলেন, গতকাল রাত আটটায় চাঁদপুর সদর উপজেলার পাইকদী গ্রাম থেকে বিয়ের যাত্রীবাহী ট্রলার একই উপজেলার চরমেয়াশা গ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রলারটি শাহতলী বাজারের পশ্চিম পাশে এলে পেছন থেকে বালুবাহী বাল্কহেড ধাক্কা দেয়। ট্রলারটি নদীতে ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ৪০ জন যাত্রীর সবাই নদীতে ডুবে যায়। নদী শান্ত থাকায় অন্য যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠে গেলেও পাঁচ বছরের শিশু প্রিয়ান্তি নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন চেষ্টা চালিয়ে নিখোঁজ শিশুর কোনো সন্ধান পায়নি।
এদিকে একই দিন দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরে ঢাকার নিউমার্কেট এলাকা থেকে মানিক-৯ লঞ্চে করে একদল ব্যবসায়ী ও কর্মচারী পিকনিকে যান। মেঘনা নদীতে অনেকেই গোসল করতে নামেন। বিকেল চারটার দিকে সাজ্জাত হোসেন নামের একজন নদীতে গোসল করার সময় ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হন। তাঁর বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জের বালি গ্রামে। খবর পেয়ে চাঁদপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের দল রাত ১০টা পর্যন্ত নিখোঁজ তরুণের সন্ধান চালিয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে পারেনি।
মোহনপুর নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. হোসেন বলেন, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করেও ওই তরুণের সন্ধান পাইনি। এখনো আমরা নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছি।’ এ ঘটনায় সাজ্জাতের বড় ভাই সাব্বির হোসেন নৌ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলে তিনি জানান।
নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার ফরিদুল ইসলাম বলেন, দুটি ঘটনাই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।