চট্টগ্রামে গ্রেপ্তারের পর র্যাব হেফাজতে সাবেক বিএনপি নেতার মৃত্যু
চট্টগ্রাম নগর থেকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব হেফাজতে বিএনপির সাবেক এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম নুরুল ইসলাম (৬০)। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে র্যাব।
নুরুল ইসলাম রাঙামাটি জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। তবে পরে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। র্যাবের ভাষ্য, নুরুলের বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকের দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব মঙ্গলবার রাতে নগরের পাঁচলাইশ প্রবর্তক মোড় এলাকা থেকে নুরুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে নগরের পতেঙ্গায় র্যাব-৭ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় অসুস্থবোধ করলে তাঁকে কার্যালয়ের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, হাসপাতালে নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত নুরুলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গ্রেপ্তার নুরুল ইসলামের হৃদরোগ ছিল বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবছার। তিনি বলেন, তাঁকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্নও নেই।
এদিকে বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে নুরুলের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। মর্গের সামনে থেকে তাঁর বড় ছেলে মো. সাজ্জাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমার বাবার হৃদরোগী ছিলেন। এক সময় বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও, সবশেষ ঠিকাদারি করতেন।’
ময়নাতদন্তের বিষয়ে কথা বলতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সুমন মুৎসুদ্দীর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
নুরুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে বুধবার প্রথম আলোকে জানান পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির। তিনি বলেন, সুরতহালে নিহতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।