চট্টগ্রামে অফিস–আদালতে ভিড়, রাস্তায় যানজট
কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার প্রথম দিন চট্টগ্রাম শহরে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। ব্যাংক, অফিস–আদালতে মানুষের ভিড়। খুলেছে দোকানপাট, শপিং মল। আজ বুধবার নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
নগরের অক্সিজেন মোড়, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট, জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, চকবাজার, নিউমার্কেট, কোতোয়ালি মোড়, ইপিজেডসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে লেগে ছিল যানজট। ব্যক্তিগত গাড়ির সঙ্গে বেড়েছে গণপরিবহনও।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরের টাইগারপাস মোড় থেকে শুরু হয়ে দেওয়ানহাট-আগ্রাবাদ পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়ানো ছিল গাড়ি। যানজট এত তীব্র ছিল যে দুই থেকে পাঁচ মিনিট পর থেমে থেমে যেতে হয় গাড়িগুলোকে।
এদিকে নগরের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে ছিল মানুষে ভিড়। হুড়োহুড়ি করে অনেককে গন্তব্যে পৌঁছাতে বাস, টেম্পোতে উঠতে দেখা যায়। এদের বেশির ভাগেরই মুখে ছিল না মাস্ক। মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব।
ব্যবসার কাজে নগরের অক্সিজেন থেকে আগ্রাবাদে যেতে নুরুল আলমের সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত দিন বিধিনিষেধ থাকায় বেশি ভাড়ায় যেতে হয়েছে। কিন্তু কম সময়ের মধ্যে পৌঁছেছি। আজ বুধবার আগের ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছলেও সময় লেগেছে বেশি।’
জেবুন নিসা নামের এক পোশাকশ্রমিক বলেন, গণপরিবহন চালু হওয়ায় কারখায় যেতে সুবিধা হয়েছে। কিন্তু ভাড়া বেশি দাবি করেছে। না দেওয়ায় চালকের সহকারীর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। ভাড়া নিয়ে আরও কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে সকালে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নগরের অন্যতম পাইকারি বাজার টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় তাঁরা দোকানপাট খুলেছেন। এত দিন তাঁরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মার্কেটে লোকসমাগম বাড়ছে। তবে তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন। সামনে যাতে আর বিধিনিষেধ না আসে। নাহলে মালিক–কর্মচারীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার ট্রাফিক (উত্তর) আলী হোসেন আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম দিন হওয়ায় লোকজন বেশি বেরিয়েছে। যানজট যাতে স্থায়ী না হয়, পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। বেশির ভাগেরই মাস্ক না থাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে মাস্ক দেওয়া হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে ১ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দেয় সরকার। পরে ঈদুল আজহা ঘিরে ১৪ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল রাখা হলেও ২৪ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পুনরায় গণপরিবহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এরপর আজই সারা দেশে অফিস–আদালত ও গণপরিবহন চালু হয়েছে।