চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাস ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। সে সময় তাঁদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, গুলি, মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
আজ সোমবার র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য দেওয়া হয়।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনায় চকরিয়া থানায় মামলা হয়। এরপর র্যাব-৭ অভিযান চালিয়ে প্রথমে ডাকাত দলের ‘সরদার’ মো. ইয়াহিয়া ওরফে জয়নালকে (২৬) গ্রেপ্তার করে। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছলিম উল্লাহ (৩৩), ছাবের আহমদ (২৯), আবুল কালাম (৩০), শাহ আমান ওরফে বাটু (২৮) ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ২০টি মুঠোফোন, এক জোড়া সোনার কানের দুল, একটি হাতঘড়ি, নগদ অর্থ ও বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়।
র্যাবের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মাহমুদুল হাসান বলেন, এই ডাকাত দলের সদস্যরা ৫ ও ১২ নভেম্বর একই এলাকায় দুটি বাসে ডাকাতি করেছিল। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে তাঁদের থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসেরদিঘি এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফগামী যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে বাসের চার যাত্রী গুলিবিদ্ধ হন। ডাকাতদের মারধরে আহত হন আরও ছয়জন। ডাকাত দল ডাকাতি শেষে হাঁসেরদিঘি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে খুটাখালী এলাকায় নেমে যায়।