ঘরে ঢুকে ভাই–বোনকে চাপা দিল পিকআপ-ভ্যান
রাস্তার পাশে ঘরের মধ্যে ছিল দুই ভাই–বোন। পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেখানে ঢুকে চাপা দেয় তাদের। এতে ঘটনাস্থলেই ছোট বোন নিহত হয়। আহত হয় ভাই।
আজ শুক্রবার এ ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায়। একই দিন কাশিয়ানী ও মুকসুদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও দুজন প্রাণ হারিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ সদরে নিহত শিশু হলো তাসফিয়া খানম (৩)। সে গোপীনাথপুর এলাকার চান মিয়া শিকদারের মেয়ে। কাশিয়ানীতে নিহত ব্যক্তির নাম শাহিন মোল্লা (৩০)। তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আতালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মুকসুদপুরে প্রাণ হারিয়েছেন খুশি বেগম (৫০)। তাঁর বাড়ি প্রভাকরদী গ্রামে।
গোপীনাথপুর ফাঁড়ির পুলিশ জানায়, আজ বেলা দেড়টার দিকে তাসফিয়া ও তার ভাই রাব্বি সিকদার (৬) ঘরে ছিল। এ সময় একটি পিকআপ–ভ্যান ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ সদরের দিকে যাচ্ছিল। সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘরে ঢুকে তাসফিয়া ও রাব্বিকে চাপা দেয়। এতে তাসফিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। রাব্বি আহত হয়।
ফাঁড়ির পরিদর্শক আবু নাঈম বলেন, রাব্বিকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কাশিয়ানী থানার পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকালে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ধরে নন্দন দত্ত ও কার্তিক মণ্ডল খুলনা যাচ্ছিলেন। গাড়িটির চালক ছিলেন শাহিন। ধূসর সেতুর কাছে পৌঁছালে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের রেইনট্রির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে তিনজনই আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে শাহিনের মৃত্যু হয়। পরে নন্দন ও কার্তিককে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, শাহিনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মুকসুদপুর থানার পুলিশ জানায়, আজ ভোর পাঁচটার দিকে কলেজ মোড় এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন খুশি বেগম। এ সময় একটি মাইক্রোবাস তাঁকে চাপা দেয়। আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
থানার ওসি মো. আবু বকর মিয়া বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।