গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আজ মঙ্গলবার দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তির প্রাণ গেছে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। নিহত শরীফ মিজানুর রহমান (৫৫) উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের শামুকখোলা গ্রামের মৃত ওদুদ শরীফের ছেলে। পেশায় তিনি ভ্যানচালক ছিলেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সৈয়দ আশরাফ আলী (৫৫) নামের একজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁকে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা জটিল হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে খুলনায় নেওয়া হয়েছে। তাঁর বুকে ধারালো অস্ত্রের কোপ। এ ছাড়া আহত মফিদুল কাজী, ইমদাদুল কাজী, সোহাগ কাজীসহ অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
গ্রামের লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের কাজী আবদুল আলিম ও কাজী আবুল হোসেন পক্ষের মধ্যে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। বর্তমানে কাজী আবুল হোসেন পক্ষের দল বড় হয়েছে। তাই এ পক্ষ সম্প্রতি বিভিন্নভাবে শক্তি দেখাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাজী আবদুল আলিম পক্ষের ওবায়দুর কাজী ও কালাম কাজীর বাড়ি থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন তিন-চারটি গরু ধরে নিয়ে আসে।
এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্ক ও কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বেলা দেড়টার দিকে দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ধারালো সরকির আঘাতে মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলেই নিহত হন। মিজানুর ও গুরুতর আহত আশরাফ আলী দুজনই কাজী আবদুল আলিম পক্ষের। মিজানুরের নিহত হওয়ার পর সংঘর্ষ থেমে যায়। এরপর তাঁর প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।