গৌরীপুরে নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর, বিজয়ী চেয়ারম্যানকে আটক
ময়মনসিংহের গৌরীপুরের ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকারকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ কাইয়ুমকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত একটার দিকে উপজেলা পরিষদে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান আবদুল হালিম সিদ্দিকী নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আটকের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। আজ সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। তবে ওসি খান আবদুল হালিম সিদ্দিকী জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ডৌহাখলা ইউনিয়নের কয়েক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এম এ কাইয়ুম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। এই ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন শহীদুল হক সরকার। গতকাল ভোট গ্রহণের সময় শহীদুল হকের কর্মীরা একাধিক কেন্দ্রে অনিয়ম করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
কাইয়ুমের সমর্থকদের ভাষ্য, নির্বাচন শেষে ভোট গণনার পর কাইয়ুম এগিয়ে ছিলেন। রাতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফলাফল প্রকাশের সময় কাইয়ুমের সমর্থকেরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার কাইয়ুমের উদ্দেশে বলেন, ‘নৌকা আপনার চেয়ে ৫০০ ভোট বেশি পেয়েছে। আপনি আপনার লোকদের নিয়ে চলে যান।’
এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে কাইয়ুমের সমর্থকেরা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর করেন। এতে নির্বাচন কর্মকর্তা আহত হন। পরে পুলিশ হামলাকারীদের কাছ থেকে নির্বাচন কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে এবং কাইয়ুমকে আটক করে। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কাইয়ুমকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাইয়ুমের এক সমর্থক বলেন, তাতকুড়া কেন্দ্রে কাইয়ুম আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ কেন্দ্রের ভোট নিয়ে কারসাজি করে নৌকাকে বিজয়ী করার পাঁয়তারা করেন। পরে কাইয়ুমের সমর্থকেরা তাঁকে মারধর করেন।
এ বিষয়ে জানতে সজল চন্দ্র সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে হামলা ও আটকের বিষয়ে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মাসুদ বলেন, ‘এ বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। কাজেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না।’