পদ্মায় ধরা পড়ল ১৬ কেজির বিগহেড

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে ভোররাতের দিকে ১৬ কেজি ওজনের একটি বিগহেড মাছ ধরা পড়েছে। এত বড় বিগহেড মাছ সহজে ধরা পড়ার খবর পাওয়া যায় না। আজ শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটেপ্রথম আলো

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে ১৬ কেজি ওজনের একটি বিগহেড মাছ ধরা পড়েছে। আজ শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের উজানে মাছটি আলাল হালদার নামের এক জেলের জালে ধরা পড়ে। মাছটি বিক্রির জন্য স্থানীয় মাছবাজারে নেওয়ামাত্রই এত বড় বিগহেড মাছ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়।

দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, সকালে মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জেলে আলাল হালদার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসংলগ্ন দৌলতদিয়া বিকল্প সড়কের পাশে মাছবাজারে নিয়ে আসেন। মাছটি স্থানীয় বাবু সরদারের আড়তে বিক্রির জন্য আনলে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায়। বিগহেড কার্পজাতীয় মাছ, সাধারণত চার-পাঁচ কেজির বেশি দেখা যায় না। সেখানে ১৬ কেজি ওজনের এত বড় বিশাল বিগহেড মাছ সবার নজর কাড়ে। পরে সেখানে উন্মুক্ত নিলামে উঠলে ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা ৭৫০ টাকা কেজি দরে ১২ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

শুধু এ বছরই নয়, আমার ব্যবসায়ী বয়সে এত বড় বিগহেড মাছ আগে কখনোই দেখি নাই।
চান্দু মোল্লা, নিলামে মাছটি কিনে নেওয়া ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী

মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, এত বড় বিগহেড মাছ সাধারণত পদ্মা নদীতে খুব একটা দেখা যায় না। তাই লাভের আশায় বাবু সরদারের আড়ত থেকে ১২ হাজার টাকা দিয়ে মাছটি কেনেন তিনি। মাছটি বিক্রির জন্য মুঠোফোনে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে দুপুরের দিকে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ৮০০ টাকা কেজি দরে মাছটি ১২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি।

পদ্মা নদীর উজানে ধরা পড়া ১৬ কেজি ওজনের বিগহেড কার্প। আজ শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে
প্রথম আলো

চান্দু মোল্লা আরও বলেন, দৌলতদিয়ার অব্যবহৃত ১ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে জেলে আলাল হালদারের ফেলা বেড়জালে মাছটি আজ ভোররাতের দিকে ধরা পড়ে। পরে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে তিনি মাছটি কিনে নেন। এর আগে গত বছর পদ্মা নদীতে ১২ কেজি ওজনের একটি বিগহেড মাছ ধরা পড়েছিল। সেটিও তিনিই কিনেছিলেন। এ বছর এত বড় মাছ প্রথম ধরা পড়েছে। চান্দু মোল্লা বলেন, ‘শুধু এ বছরই নয়, আমার ব্যবসায়ী বয়সে এত বড় বিগহেড মাছ আগে কখনোই দেখি নাই।’