গোয়ালন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম হারুন শেখ (৪৫)। তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার জুগিরবয়ড়া গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলী শেখের ছেলে। হারুন শেখ গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লির দবিরের বাড়ির ভাড়াটে এবং তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করতেন।
পরিবারের দাবি, হারুনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহত হারুনের শ্যালক সোনা মিয়া বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার খুব ভোরে টাঙ্গাইল থেকে রওনা হয়ে গোয়ালন্দ এসে পৌঁছাই। এখানে সবকিছু জানার পর মনে হয়েছে, আমার বোনজামাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এদিকে এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছেন নিহত হারুনের প্রতিবেশী আরান আলী। তিনি বলেন, গতকাল বিকেলে হারুনের অসুস্থতার খবর পেয়ে তিনি ছুটে যান। দবিরের বাড়ি থেকে শরিফা ও নিলু মণ্ডল নামের দুজনের সহযোগিতায় তাঁকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নেশাজাতীয় কিছু সেবনের ফলে তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নিতাই কুমার ঘোষ বলেন, গতকাল বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে শরিফা নামে স্ত্রী পরিচয় দেওয়া এক নারী ও নিলু মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি মিলে মৃত অবস্থায় হারুন শেখকে হাসপাতালে আনেন। বিষয়টি থানায় অবগত করলে পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, গতকাল রাতে সুরতহাল শেষে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আজ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।