গোয়ালন্দ ঘাটে প্রায় চার কিলোমিটারে ট্রাকের সারি, প্রচণ্ড গরমে ভোগান্তি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় কয়েক দিন পর নতুন করে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ঘাট এলাকায় আজ সোমবার জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দের ওয়াজেদ চৌধুরী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাকের লম্বা সারি তৈরি হয়েছে।
গতকাল রোববার রাত থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যানবাহনের চাপ রয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে। প্রখর রোদ আর প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পেতে হচ্ছে চালক ও সহযোগীদের। তবে এগুলোর মধ্যে ঢাকামুখী যাত্রীবাহী বাসের সিরিয়াল কম রয়েছে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে মহাসড়কের গোয়ালন্দের ওয়াজেদ চৌধুরী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার লম্বা লাইনে কয়েক শ গাড়ি দেখা যায়।
ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকের চালক মইনুল হক আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ঘাটের যানজট এড়াতে আজ সকাল সাতটার দিকে রওনা দেন তিনি। এরপরও দৌলতদিয়া ঘাটে এসে আটকে আছেন। কখন ফেরি পার হতে পারবেন, বলতে পারছেন না। এ ছাড়া প্রচণ্ড গরমে খোলা আকাশের নিচে গাড়ির মধ্যে থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
পদ্মা পাড়ি দিতে ফেরির জন্য অপেক্ষমাণ ঢাকামুখী কয়েক শ যানবাহনের মধ্যে অধিকাংশ সাধারণ পণ্যবাহী যান। এসব যানের চালকদের ভাষ্যমতে, তাঁরা ৮ থেকে ৯ ঘণ্টার ওপর সিরিয়ালে আটকে আছেন। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত ফেরির নাগাল পাচ্ছে যাত্রীবাহী বাস, কাঁচা শাকসবজি, মাছের গাড়ি, গরুবাহী ট্রাক, ফলসহ বিভিন্ন ধরনের জরুরি ও পচনশীল পণ্যবাহী গাড়ি।
ঘাটে অপেক্ষমাণ যশোরের বেনাপোল থেকে আসা আরেক ট্রাকচালক আবুল হোসেন বলেন, গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌঁছান তিনি। প্রায় ৯ ঘণ্টা পেরিয়ে আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত ফেরির নাগাল পাননি। কখন নদী পার হয়ে গাজীপুর যাবেন, জানেন না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন জানান, চার-পাঁচ দিন পর আজ হঠাৎ পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এগুলোর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস ও কাঁচামালবাহী ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করায় অপচনশীল বা সাধারণ পণ্যের ট্রাকের সারি তৈরি হয়েছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনের চাপ কমাতে তাঁরা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।