গাজীপুরে প্রথম করোনা পরীক্ষার ল্যাব উদ্বোধন
গাজীপুরের কাশিমপুরের তেতুইবাড়ি এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এই পরীক্ষাগার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। গাজীপুরে করোনা পরীক্ষাকরণের জন্য এটিই প্রথম ল্যাব।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নির্বাহী সদস্য মেজর জেনারেল আব্দুল হাফিজ মল্লিক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
পরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ল্যাবটি স্থাপনের ফলে করোনা প্রতিরোধে সরকারের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষা করতে ৫-৭ দিন সময় লেগে যায়। কিন্তু এ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষায় একদিনে সম্পন্ন হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছে।
মেজর জেনারেল আব্দুল হাফিজ মল্লিক বলেন, এই হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে করোনা পরীক্ষা করা হবে। তবে নমুনা সংগ্রহের জন্য ৫০০ টাকা ফি নেওয়া হবে। অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালে সরকার নির্ধারিত ফি ৪ হাজার টাকা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই হাসপাতালে মাত্র ৫০০ টাকাতেই করোনা পরীক্ষার সুযোগ পাবেন সেবাপ্রত্যাশীরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ল্যাবটিতে প্রতিদিন ৩ শতাধিক নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা যাবে। পরীক্ষার প্রতিবেদন ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেওয়া সম্ভব হবে। পর্যাপ্ত সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেই এ ল্যাবে করোনার পরীক্ষা হবে। ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালটির মূল ক্যাম্পাসের বাইরে নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন করা হয়েছে। ফলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অন্য রোগীদের মধ্যে করোনা সংক্রমিত হওয়ার কোনো ঝুঁকি থাকছে না। এখানে জীবাণুনাশক স্প্রে, জিইনফেকশন টানেলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম স্থাপন করে হাসপাতালে জীবাণুমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। হাসপাতালের এ ল্যাবটিতে ভাইরোলজিস্ট কামরুন্নাহারের তত্ত্বাবধানে করোনা নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।
হাসপাতালের ব্যবসা উন্নয়ন সার্ভিসের কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অর্থায়নে এবং মালয়েশিয়ার কেপিজে-এর সহায়তায় এ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। এখানে সার্বক্ষণিক ৬১জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াও ১৭৫ জন নার্স কাজ করছেন। এখানে নাক-কান,গলা, চক্ষু, অর্থোপেডিকস, হৃদ্রোগের পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনার রোগী, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগসহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।