গাইবান্ধায় মাত্র ২২ ঘণ্টায় সম্পন্ন হলো ১০ কিলোমিটার সড়কে আলপনা অঙ্কনের কাজ। প্রায় ১ হাজার ১০০ শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকের রংতুলির ছোঁয়ায় আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় অঙ্কনের কাজ শেষ হয়। দুপুর ১২টার দিকে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনসের সামনে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই অঙ্কনকাজের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এরপর তিনি ফিতা কেটে সড়কে যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত করেন।
এ সময় শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সড়কে করা আলপনা ঘুরে দেখেন। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘দীর্ঘ সড়কে এই আলপনা অঙ্কনের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে গাইবান্ধার নাম উঠবে ভেবে খুব ভালো লাগছে। আলপনার কারণে শুধু গিনেস রেকর্ডই নয়, গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেয়েছে।’গাইবান্ধায় শিক্ষার্থীদের ১০ কিলোমিটার আলপনা
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘তোমাদের এই উদ্যোগ মহান। আমি আশা করি, তোমাদের এই উদ্যোগের ধারা যেন অব্যাহত থাকে। এ ধরনের কাজে আমি তোমাদের সার্বিক সহযোগিতা করব। তোমাদের পাশে থাকব।’
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের জেলা শহরের পুলিশ লাইনসের সামনে আলপনা অঙ্কনের এ কাজ শুরু করা হয়। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয় ‘বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা উৎসব’। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া গাইবান্ধার শিক্ষার্থীদের সংগঠন পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব গাইবান্ধার (পুসাগ) শিক্ষার্থীরা এ উদ্যোগ নেন।
আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে অঙ্কনের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু তার আগেই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অঙ্কনের কাজ শেষ হয়। জেলা শহরের পুলিশ লাইনস থেকে সাঘাটা উপজেলার ভাঙ্গামোড় পর্যন্ত গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের ১০ কিলোমিটার অংশ আলপনা আঁকা হয়। পুসাগের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১ হাজার ১০০ স্বেচ্ছাসেবক এ কাজে অংশ নেন।
কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুসাগ সভাপতি হুসেইন মো. জীম, সাধারণ সম্পাদক এ কে প্রামাণিক পার্থ, নির্বাহী সভাপতি তন্ময় নন্দী, প্রধান সমন্বয়ক চন্দ্র শেখর চৌহান প্রমুখ।
পুসাগ সভাপতি জীম বলেন, ‘১০ কিলোমিটার সড়কে আলপনা আঁকার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়ে ২২ ঘণ্টায় কাজটি শেষ করতে পেরেছি। শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকদের দিনরাত পরিশ্রমের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। আমাদের কাজটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্বীকৃতি পেলে আমরা ধন্য হব।’ তিনি আরও বলেন, এ কাজে মোট ছয় হাজার লিটার রং লেগেছে। এ কাজে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।