চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগরে গতবারের তুলনায় এবার দ্বিগুণ পশুর হাট বসাতে চায়। এ বছর ৩টি স্থায়ী হাটের পাশাপাশি ১০টি অস্থায়ী হাট বসাতে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে তারা। তবে কতটি হাটের অনুমোদন দেওয়া হবে, আজ শনিবার পর্যন্ত তা চূড়ান্ত হয়নি। গত বছর তিনটি স্থায়ী ও তিনটি অস্থায়ী হাট বসেছিল।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, গত দুই বছর করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব ছিল। এ জন্য জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে বেশি হাট বসানোর অনুমতি পাওয়া যায়নি। তবে এবার সে সমস্যা তেমন নেই। তাই কোরবানির ঈদ উপলক্ষে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ১০টি অস্থায়ী হাট বসানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে নগরবাসী কোরবানির পশু সহজে ও দ্রুত কেনাকাটা করতে পারবেন। এ জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে ১৭ মে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
গত দুই বছর করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব ছিল। এ জন্য জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে বেশি হাট বসানোর অনুমতি পাওয়া যায়নি। তবে এবার সে সমস্যা তেমন নেই।
সূত্র আরও জানায়, গতবার সাতটি অস্থায়ী হাট বসানোর আবেদন করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনটির অনুমোদন দিয়েছিল প্রশাসন। তবে এ জন্য ১৭ শর্ত দেওয়া হয়েছিল। যদিও বাস্তবে অনেক শর্ত সে সময় মানা হয়নি।
চলতি বছরের জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পবিত্র ঈদুল আজহা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবছর ঈদের আগের ১০ দিন নগরে পশুর হাটগুলো বসে। এতে চট্টগ্রামের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা গরু-ছাগল নিয়ে আসেন। এসব হাটে চট্টগ্রাম নগর ও এর আশপাশের উপজেলার লোকজনও পছন্দের গরু-ছাগল কিনতে আসেন।
গতবার সাতটি অস্থায়ী হাট বসানোর আবেদন করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনটির অনুমোদন দিয়েছিল প্রশাসন। এ জন্য ১৭ শর্ত দেওয়া হয়েছিল। যদিও বাস্তবে অনেক শর্ত সে সময় মানা হয়নি।
সিটি করপোরেশন এবার যেসব জায়গায় হাট বসাতে চায় সেগুলো হচ্ছে নগরের কর্ণফুলী গরুবাজার (নূর নগর হাউজিং এস্টেট), সল্ট গোলা রেলক্রসিং-সংলগ্ন হাট, স্টিলমিল বাজার, কাঠগড়ে পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চবিদ্যালয় মাঠ, দক্ষিণ পতেঙ্গার বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রুপের খালি মাঠ, ধুমপাড়া আউটার রিং রোডের পাশে খালি জায়গা, চৌধুরীহাট রেলস্টেশন বাজার, আমানবাজার ওয়াসা মাঠ, মাদারবাড়ী রেলক্রসিং-সংলগ্ন বালুর মাঠ ও কালুরঘাট সেতুর উত্তর পাশের মাঠ।
গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরে পশুর হাট বসানোর ব্যাপারে মতামত জানানোর জন্য নগর পুলিশের কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
নগরের তিনটি স্থায়ী হাট হচ্ছে সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের হাট। এই তিন হাট বাংলা সনের শুরুতে ইজারা দেওয়া হয়। তবে চার দফা দরপত্র দেওয়ার পরও সাগরিকা বাজার হাটের ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়নি। ইজারাদারেরা আবেদন না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা হাট থেকে হাসিল আদায় করছেন।
সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের চাহিদার ভিত্তিতে এবার ১০টি অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। এখন প্রশাসনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তাঁরা।