গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে ‘হানিফ বাংলাদেশি’ এখন বগুড়ায়
জনগণের ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য দেশব্যাপী গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় মোহাম্মদ হানিফ ওরফে ‘হানিফ বাংলাদেশি’ এখন বগুড়ায় । তিনি গণতন্ত্রের জন্য নানা শ্রেণি–পেশার মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন।
আজ বুধবার সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে এই গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু করেন হানিফ বাংলাদেশি। সাতমাথা, জেলা পরিষদ চত্বর, প্রেসক্লাব চত্বরসহ নানা জায়গা ঘুরে স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন তিনি। গণস্বাক্ষর সংগ্রহের সময় হানিফ বাংলাদেশির মাথায় জাতীয় পতাকা, মুখে বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত মাস্ক, গলায় প্ল্যাকার্ড ও হাতে গণস্বাক্ষরের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। তাঁর গলায় ঝোলানো প্ল্যাকার্ডে লেখা আছে, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতন্ত্রের দাবিতে দেশব্যাপী মার্চ ফর ডেমোক্রেসি (গণতন্ত্রের জন্য অভিযাত্রা)।’
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফ থেকে গণতন্ত্রের জন্য এই গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন হানিফ বাংলাদেশি। ৫৩ জেলা ঘুরে ৬৮ দিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ায় পৌঁছান তিনি। ৬ মার্চ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গণস্বাক্ষর সংগ্রহের মধ্য দিয়ে তাঁর এ কর্মসূচি শেষ হবে।
হানিফ বাংলাদেশি প্রথম আলোকে বলেন, ৫৪তম জেলা বগুড়ায় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন। এ উদ্যোগে নানা শ্রেণি–পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলছে। এ পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি মানুষ গণতন্ত্রের জন্য গণস্বাক্ষর করেছেন।
এই কর্মসূচি সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে নানা সময়ে জনগণের ভোটাধিকার কমবেশি লুণ্ঠিত হয়েছে। গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জনগণের প্রত্যাশা, ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। ভোটাধিকার জনগণের হাতে না থাকায় দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতন্ত্রের দাবিতে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা ঘুরে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন তিনি। এতে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলছে।
এর আগে গত অক্টোবরে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত অভিমুখে একক পদযাত্রা কর্মসূচি শেষ করেন ‘হানিফ বাংলাদেশি’।
মোহাম্মদ হানিফের বাড়ি নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার নিয়াজপুর ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামে। নানা কর্মসূচির কারণে মোহাম্মদ হানিফ দেশজুড়ে ‘হানিফ বাংলাদেশি’ নামে পরিচিতি পান।