‘খ্যাতায় শীত মানে না, কোম্বোল দেছো এহন আর শীত লাগবেনানে’

প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল পেয়ে খুশি শীতার্ত মানুষেরা। আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের পারকরফা আশ্রয়ণ এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

‘আমাগে এহ্যানে চারিধার ফাঁহা। চারিদিক দিয়ে বাতাস আসে, জম্মের শীত লাগে। একটা খ্যাতায় (কাঁথা) শীত মানে না। কোম্বোল দেছো এহন আর শীত লাগবেনানে। আল্লায় তোমাদের ভালো রাহুক, বাবা।’

প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে কম্বল পেয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের তারাইল আশ্রয়ণের বাসিন্দা সখিনা বেগম।

আজ শনিবার উপজেলার নিজামকান্দি, তারাইলের ফুকরা গ্রামের আশ্রয়ণের ২০০ বাসিন্দার মধ্যে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হয়। এতে সহযোগিতা করেন গোপালগঞ্জ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের তালতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে, বেলা একটায় ফুকরা ইউনিয়নের তারাইল আশ্রয়ণে ও বেলা দুইটায় রাতইল ইউনিয়নের পারকরফা আশ্রয়ণের অসহায় মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ বন্ধুসভার উপদেষ্টা কবি মিন্টু হক, সংগঠনের সভাপতি সাকিব হোসেন, সদস্য আশিকুল ইসলাম, হাসানুর রহমান, বশেমুরবিপ্রবি বন্ধুসভার সদস্য সেলিম রেজা, মাহমুদুল হাসান, প্রথম আলোর গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি নুতন শেখ, সমাজসেবক রিমন খান প্রমুখ।

সমাজসেবক রিমন খান বলেন, প্রথম আলো শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, এটি খুবই ভালো উদ্যোগ। এভাবে বিত্তবানদের অসহায় লোকের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

পারকরফা আশ্রয়ণের বাসিন্দা আকিরন বেগম (৫৫) কম্বল পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘নদীতে সব ভেঙে নিয়ে গ্যাছে। এ্যহোন এইহ্যনে থাহি। বাবা, আমাগে কাছে এ্যহনো কেউ আসেনি। তোমরাই ফেত্তম আইছো। কোম্বল পেয়ে ভালো হলো, শান্তিতে শুতি পারবানি।’

শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে। হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল

হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।

অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে।