খুলনায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

খুলনা জেলার মানচিত্র

খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার মো. কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী খুকুমনিকে (১৯) পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার দুপুরে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেছেন খুকুমনির মা শিউলী বেগম। বিকেলে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক তরিকুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য সোনাডাঙ্গা থানা-পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খুকুমনি। ১৭ ফেব্রুয়ারি অগ্নিদগ্ধ হন তিনি। সোনাডাঙ্গার আল ফারুক মাদ্রাসা সড়কের একটি বাড়িতে তাঁরা ভাড়া থাকতেন।

মামলার এজাহার ও খুকুমনির মা শিউলী বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আল ফারুক মাদ্রাসা রোডের ওই বাড়িতে মেয়ে খুকুমনিকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন তাঁরা। ওই বাড়ির আরেকটি ঘরে ভাড়া থাকতেন কামরুল। পাশাপাশি থাকার সুবাদে খুকুমনির সঙ্গে কামরুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে কয়েক মাস আগে পারিবারিকভাবে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ে ও জামাই শিউলী বেগমের সঙ্গেই থাকতেন। তবে বিয়ের পর দুজনের মধ্যে মাঝেমধ্যে ঝগড়া হতো।

শিউলি বেগম বলেন, ঘটনার দিন তিনি বাগেরহাটের শরণখোলা তাঁর অসুস্থ মাকে দেখতে যান। তাঁর স্বামীও কাজের তাগিদে যশোরের কেশবপুরে গিয়েছিলেন। ভোরের দিকে জানতে পারেন, বাড়িতে থাকতে খুকুমনির গায়ে আগুন লেগেছে, তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি খুলনায় এসে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা জানান, খুকুমনির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে হবে।

শিউলি বেগম আরও বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, ওই দিনই ঢাকায় নিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলের দিকে মারা যান খুকুমনি। মৃত্যুর আগে এক ভিডিওবার্তায় খুকুমনি তাঁর মৃত্যুর জন্য স্বামী কামরুল ইসলামকে দায়ী করেছেন। ঢাকায় ময়নাতদন্ত শেষে খুকুমনির লাশ গ্রামের বাড়ি শরণখোলা দাফন করা হয়। কামরুল এখন পলাতক।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুদুর রহমান জানান, শুনানি শেষে আদালত বাদীর আবেদনটি আমলে নিয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানাকে তদন্ত করে মামলা রেকর্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।