খাবারের খোঁজে সীমানা পেরিয়ে অজগরের ছানা

মৌলভীবাজার জেলার মানচিত্র

ভারত সীমান্তঘেঁষা বাড়ি। আশপাশে কোনো ঘন জঙ্গল নেই। বাড়িটির একটি কক্ষে জ্বালানি কাঠ ও হাঁস-মুরগি রাখা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সেখান থেকে কাঠ আনতে গেলে একটি অজগরের ছানার দেখা মেলে। পরে বন বিভাগের প্রহরীরা গিয়ে বন্য প্রাণীটি উদ্ধার করে সংরক্ষিত বনে ছেড়ে দেন।

বন বিভাগের প্রহরী ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাবারের সন্ধানে অজগরের ছানাটি সীমান্তের ওপারের কোনো জঙ্গল থেকে চলে আসতে পারে। ঘটনাটি মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পূর্ব-দক্ষিণ সাগরনাল গ্রামের।

এলাকাবাসী জানান, পূর্ব-দক্ষিণ সাগরনাল এলাকায় জুড়ী নদী বাংলাদেশ-ভারতকে আলাদা করে দিয়েছে। নদীর ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। পূর্ব-দক্ষিণ সাগরনাল গ্রামে নদীর তীর ঘেঁষে প্রয়াত স্কুলশিক্ষক আবদুর রহিমের বাড়ি। পরিবারের নারীরা দুপুরের দিকে নির্ধারিত কক্ষ থেকে জ্বালানি কাঠ বের করতে গিয়ে অজগরের ছানাটি দেখে চমকে ওঠেন। খবর পেয়ে আশপাশের বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভিড় জমায়।

খবর পেয়ে বন বিভাগের জুড়ী রেঞ্জের সাগরনাল বিটের বন প্রহরীরা সেখানে গিয়ে অজগরের ছানাটি বস্তায় ভরে নিয়ে যান। বিকেল চারটার দিকে এটিকে পার্শ্ববর্তী পুঁটিছড়া সংরক্ষিত বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় পুঁটিছড়া বিট কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় লোকজন, গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাগরনাল বিটের বনপ্রহরী আক্তার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অজগরের ছানাটি প্রায় সাড়ে ৩ ফুট লম্বা। ওজন ১০ থেকে ১৫ কেজি হবে।

আক্তার হোসেন বলেন, যেখানে বন্য প্রাণীটিকে পাওয়া গেছে, এর আশপাশে কোনো জঙ্গল নেই। তবে সীমান্তের বিপরীতে বনজঙ্গল আছে। খাবারের সন্ধানে এটি সীমান্ত অতিক্রম করে ওই বাড়িতে চলে আসতে পারে বলে তাঁদের ধারণা।