কোনো প্রকার টাকা নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও পটুয়াখালীর বাউফলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) নিতে এক হাজার টাকা করে উৎকোচ দিতে হচ্ছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ওই উৎকোচ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির জন্য বাউফল উপজেলায় মোট ৪০ জন ডিলার রয়েছেন। এই কর্মসূচির সুবিধাভোগী ১৯ হাজার ২৩২ জন। প্রত্যেক ডিলার ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে চালের মূল্য পরিশোধের পর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার কাছ থেকে ডেলিভারি অর্ডার নিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে কোনো টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু এরপরও ওই ডেলিভারি অর্ডার নেওয়ার সময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. সিদ্দিকুর রহমান প্রত্যেক ডিলারের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে উৎকোচ নিচ্ছেন। এ ছাড়া প্রতি টন চালে শ্রমিক বাবদ দিতে হচ্ছে ২০০ টাকা।
ধুলিয়া ইউনিয়নের ডিলার মো. আলমাস হাওলাদার, মদনপুরা ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিন, নাজিরপুরের মো. সিরাজ সিকদারসহ একাধিক ডিলার বলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাকে এক হাজার টাকা দেওয়ার পর মিলছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডিও। টাকা না দিলে বিগত দিনেও চালের ডিও দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া খাদ্যগুদাম থেকে চাল ডেলিভারি নেওয়ার সময়ও প্রতি টন চালে শ্রমিক খরচ বাবদ ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে।
তবে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এ অভিযোগ সত্য নয়। এটা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’