মাটি কাটার কাজ করে সংসার চালান ষাটোর্ধ্ব আবদুল কাদের। তিন ছেলে থাকলেও স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা বসবাস করেন তাঁরা। ছয় বছর আগে মাটি কাটতে গিয়ে টিলা ধসে গুরুতর আহত হন কাদের। টাকার অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারেননি।
এবারের বন্যায় কাদেরের ঘর বুকসমান পানিতে তলিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে সিলেট-ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের উঁচু স্থানে ঠাঁই নেন। এখন পানি নেমে যাওয়ায় দু্ই দিন আগে বাড়িতে ফেরেন। বাড়িতে ফিরলেও হঠাৎ আয়হীন হয়ে পড়ায় তীব্র খাদ্যসংকটে পড়েন। শুক্রবার দুপুরে গ্রামের বাড়ি ধোপখালে গিয়ে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় বড় একটা ত্রাণের প্যাকেট। ত্রাণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে কাদের বলেন, ‘ত্রাণ পাইয়া ভালা লাগের। সবতা পানির তলে। চিড়া খাইয়া আছিলাম। অখন ভাত খাইতাম পারমু।’
প্রতিটি প্যাকেটে ছিল ৫ কেজি চাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি আটা, ১ কেজি লবণ, ১০০ গ্রাম গুঁড়া মরিচ ও ১০০ গ্রাম গুঁড়া হলুদ।
একইভাবে আবদুল কাদিরসহ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভূশ্চিগ্রাম, ধোপখাল, ভোলাগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে নৌকায় করে গিয়ে ২০০ জনের হাতে শুক্রবার দিনভর প্রথম আলো ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সহায়তায় ত্রাণসামগ্রীর প্যাকেট দেওয়া হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ছিল ৫ কেজি চাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি আটা, ১ কেজি লবণ, ১০০ গ্রাম গুঁড়া মরিচ ও ১০০ গ্রাম গুঁড়া হলুদ। এ সময় প্রথম আলো বন্ধুসভার পক্ষ থেকে খাওয়ার স্যালাইন, ন্যাপকিনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি উত্তম রায়, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক সাইফুল্লাহ সাদেক, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সভাপতি সোলেমান কবীর, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আহসান আরিফ চৌধুরী, সদস্য মো. হৃদয়, মোশারফ অমি ও শাহরিয়ার নাজিম, সিলেট বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক অন্তর শ্যাম, সদস্য সৌরভ চন্দ্র দাশ, ইয়াহিয়া চৌধুরী, হিমাদ্রী শর্মা, অনিক চন্দ্র পাল, আবদুল মোহাইমিন চৌধুরী প্রমুখ।
বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন
বন্যার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে। হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল, হিসাব নম্বর: ২০৭২০০১১১৯৪, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা। অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। এ ছাড়া বিকাশ অ্যাপের ডোনেশনের মাধ্যমেও আপনার সহযোগিতা পাঠাতে পারেন।