কেশবপুরে দুই শতাধিক শীতার্ত মানুষ পেলেন প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল
‘নাত্রি হলি ওস (কুয়াশা) পড়ে। সারা নাত জাড়ে (শীত) কষ্ট পায়। গায় একখান পাতলা কাঁথা জড়ায়ে শুয়ে থাহি। এই কম্বলডা পালি বাঁচে যাবানে।’ প্রথম আলো ট্রাস্টের দেওয়া কম্বল পেয়ে এভাবেই নিজের অনুভূতি জানালেন যশোরের কেশবপুর উপজেলার দেউলী গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা খোদেজান বেগম।
প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে কেশবপুরে দুই শতাধিক শীতার্ত মানুষের মধ্যে আজ মঙ্গলবার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের মাঠে বেলা ১১টায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ছিলেন কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এ টি এম বদরুজ্জামান, কেশবপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অপর্ণা আইচ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান, প্রথম আলোর কেশবপুর প্রতিনিধি দিলীপ মোদক, সাংবাদিক শাহীনুর রহমান, বন্ধুসভার সভাপতি শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক দীপ্ত রায় চৌধুরী, বন্ধুসভার সদস্য আবদুর রউফ, মনিরুজ্জামান, ফরিদা ইয়াসমিন, নয়ন রায়, সুমন দাস প্রমুখ।
শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে।
খোদেজানের (৭৩) একটি ঘর থাকলেও জরাজীর্ণ। মাটির ঘরটির একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। বেড়া দিয়ে ঠান্ডা বাতাস ঢোকে। এর সঙ্গে হিমেল কুয়াশা। তিনি বলেন, সারা রাত শীতে কষ্ট করেন।
দেউলী গ্রামের অশীতিপর সৈয়দ আলী (৮০) বলেন, একটি কাঁথাই তাঁর সম্বল। তিনিও কম্বল পেয়ে উপকৃত হবেন।
মজিদপুরের সবিরন নেসা বয়স বলতে পারেন না। বয়স তাঁকে কাবু করেছে বোঝা যায়। কম্বল পেয়ে তিনি বলেন, আজ রাতে ভালোই ওম হবে। মজিদপুর গ্রামের রূপালী বেগম ভিক্ষা করেন। তিনি বলেন, শীতে দারুণ কষ্টে আছেন। কম্বলটি পেয়ে তিনি বেঁচে যাবেন।
তিন মাইল দূর থেকে এসেছিলেন মূলগ্রাম নিরঞ্জন মণ্ডল (৭০)। তিনি বলেন, এবারের শীতটা একটু বেশি। বেলা না হলে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। এই শীতে কম্বল ছাড়া শীত মানে না।
শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে। হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ ত্রাণ তহবিল
হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।
অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে।