তিন দিন বিরতির পর আবার ঘন কুয়াশায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ সোমবার ভোররাত চারটা থেকে সকাল পৌনে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। এ কারণে রাতে ঘাটে আসা যানবাহনের চালকসহ যাত্রীসাধারণকে দুর্ভোগে পড়তে হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আবদুল্লাহ বলেন, এর আগে কুয়াশার কারণে গত ২৭ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে পরদিন ২৮ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত প্রায় সোয়া আট ঘণ্টা ফেরি বন্ধ ছিল। তিন দিন বিরতির পর পুনরায় গতকাল রোববার রাত থেকে হঠাৎ ভারী কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে কুয়াশার মাত্রা আরও বেড়ে গেলে একপর্যায়ে সামান্য দূরের কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তখন দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে আজ ভোররাত চারটা থেকে ফেরি বন্ধ করে দেয়। একই সঙ্গে অন্যান্য নৌযান চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
আবু আবদুল্লাহ জানান, এর আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া চাটি ফেরি মাঝনদীতে কুয়াশায় দিক হারিয়ে ফেলে। উপায় না পেয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনবোঝাই এসব ফেরি মাঝনদীতে নোঙর করতে বাধ্য হয়। চারটি ফেরিতে শতাধিক যানবাহন ও কয়েক শ যাত্রী শীত ও কুয়াশায় দুর্ভোগে পড়েছে। বাকি অধিকাংশ ফেরি দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহন লোড নিয়ে নোঙর করে রয়েছে। কুয়াশা কেটে গেলেই পুনরায় ফেরি চালু হবে। তবে আজ সকাল ১০টার আগে ফেরি চালু হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ঢাকাগামী রাতের যাত্রীবাহী অধিকাংশ নৈশকোচ দৌলতদিয়া ঘাটে এলেও ফেরি বন্ধের আগেই নদী পাড়ি দিয়েছে। ভোররাত চারটার দিকে ঘাটে আসা কিছু যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী শতাধিক গাড়ি নদী পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় আটকে রয়েছে। ফেরি চালু হলেই এসব গাড়ি নদী পাড়ি দিতে ফেরিতে উঠবে। ঘাটে আটকে থাকা যানবাহনের যাত্রীরা তীব্র শীত ও কুয়াশায় বাড়তি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অনেকে শীতের হাত থেকে বাঁচতে চায়ের দোকানে গরম চায়ের উষ্ণতা নিচ্ছেন।