কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতকটির সুরক্ষার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও
জামালপুরের সরিষাবাড়ীর উপজেলায় রাস্তার পাশ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতকটির সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নবজাতকটিকে আশ্রয় দেওয়া পরিবারের সঙ্গে দেখা করে শিশুটির সুরক্ষার দায়িত্ব নেন তিনি।
ইউএনওর কার্যালয়, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় ও শিশুটিকে আশ্রয় দেওয়া পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের পিংনা দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবুল হোসেন গত শনিবার ভোরে ফজরের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় সড়কের পাশে একটি নবজাতককে দেখতে পান। পরে তাঁর পুত্রবধূ পূর্ণিমা বেগম নবজাতকটিকে কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরিচর্যার পর গত রোববার সকালে নবজাতকটির চোখ ফোটে। শিশুটির নাম রাখা হয়েছে আবদুল্লাহ ওয়াহিদ। আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোর ময়মনসিংহ সংস্করণে ‘নবজাতকটির আশ্রয় হলো পূর্ণিমা বেগমের কোলে’ শিরোনামে সংবাদটি দেখে ইউএনও শিহাব উদ্দিন আহমদ নবজাতকটিকে দেখতে যান। এ সময় নবজাতকটির সুরক্ষার দায়িত্ব নেন তিনি। এ ছাড়া নবজাতকটির সুরক্ষায় তিন সেট শীত বস্ত্র ও উপজেলা সমাজ কল্যাণ পরিষদ থেকে ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হুমায়ূন কবীর প্রমুখ।
নবজাতকটিকে আশ্রয় দেওয়া পূর্ণিমা বেগম বলেন, ‘আমার একটি সন্তান থাকলেও নবজাতকটিকে লালন-পালনের দায়িত্ব পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। ইউএনও স্যার শিশুর লালন-পালনের জন্য ১০ হাজার টাকার চেক দিয়েছেন। শিশুটি বেড়ে ওঠা পর্যন্ত সকল প্রকার সহযোগিতা করার আশ্বাসও দিয়েছেন।’
ইউএনও ও উপজেলা সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শিহাব উদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথম আলো পত্রিকায় নবজাতকটির খবর পড়ে পিংনা দক্ষিণপাড়ার আবুল হোসেনের বাড়ি যাই। নবজাতকটির সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছি। প্রতিদিন খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। নবজাতকটির সুরক্ষার জন্য উপজেলা সমাজ কল্যাণ পরিষদ থেকে ১০ হাজার টাকা অনুদানের চেক দেওয়া হয়েছে।’