কুলে কুলে ভরা বাজার

সৈয়দপুরে জমে উঠেছে বাউকুল ও আপেল কুলের বাজার
ছবি: প্রথম আলো

সারি করে সাজানো বাউকুলের বস্তা। পাইকারেরা বাউকুল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন শহর ও গ্রামে। কুলে কুলে ভরা বাজারে সকাল থেকে শুরু হয় কেনাকাটা, চলে রাত পর্যন্ত। এভাবেই জমে উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে বাউকুল ও আপেলকুলের বাজার। মৌসুমে এই কুলের বাজার জমে ওঠায় কুলচাষি, আড়তদার, পাইকার, খুচরা ব্যবসায়ী ও পরিবহনকারী সবাই লাভবান হচ্ছেন।

সৈয়দপুর ১ নম্বর ঘুণ্টি এলাকায় রেললাইন ঘেঁষে বসছে কুলের বাজারটি। জয়পুরহাট, দিনাজপুর, রংপুর, ঈশ্বরদীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে এসব কুল। ছোট, মাঝারি ও বড় আকৃতির এসব কুল বহন করা হচ্ছে ট্রেন, পিকআপ, রিকশা, ভ্যান ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায়। এখান থেকে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা মণ দরে কুল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

নীলফামারীর ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, রংপুরের তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, পাগলাপীর, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, খানসামা, রানীরবন্দর এলাকার পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা এসব কুল কিনছেন। বাউকুল প্রতি মণ ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা, আপেলকুল ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা লাভে বিক্রি করছেন।

জয়পুরহাট থেকে আসা পাইকার আবু তালেব বলেন, সকালের ট্রেনে ৫ কার্টন বাউকুল ও ৬ কার্টন আপেলকুল নিয়ে এসেছেন। সব খরচ বাদ দিলেও তাঁর লাভ থাকবে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা।

নিজের বাগানের বাউকুল নিয়ে এসেছেন কুলচাষি রমজান আলী। দামও বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি। বলেন, বিক্রি করে আড়তের কমিশন দিয়ে বেলা থাকতেই বাড়ি ফিরতে চান তিনি।

কয়েকজন আড়তদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাইকার ও চাষিদের কুল তাঁদের হেফাজতে রাখেন। পরে সেসব কেনাবেচার ব্যবস্থা করা হয়। বিনিময়ে কিছু কমিশন দেন পাইকার ও চাষিরা। এভাবে কুলের বাজার চলছে এখানে। কয়েক বছর ধরে কুলের বাজারটি জমজমাট।

স্থানীয় দ্য বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের ভালো ব্যবস্থা থাকায় কুল বিক্রির জন্য সৈয়দপুরের বাজারই পছন্দ। বাজারটি কয়েক বছর থেকে জমজমাট। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এখানে এসে বিভিন্ন ধরনের কুল বেচাকেনা করেন।