২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

কুমিল্লায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ৩৫

জেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আর্মড পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সকালে নগরের কাপড়িয়াপট্টি নাটমন্দির পূজামণ্ডপে
ছবি: এম সাদেক

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার জেরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার ঘটনার পর থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত পর্যন্ত তাঁদের আটক করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে আজ সকাল নয়টায় নগরের নানুয়ার দিঘি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশ উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন। পরিদর্শন শেষে ডিআইজি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, যিনি বা যাঁরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের খুঁজে বের করা হবে। সব ধর্মের অনুসারীদের শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

নানুয়ার দিঘিতে পবিত্র কোরআন অবমাননার জেরে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিজিবি ও র‍্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপে আর্মড পুলিশ দেওয়া হয়েছে। গতকালের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, পূজামণ্ডপে কে বা কারা পবিত্র কোরআন রেখে এসেছেন, সেটি খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে জেলার সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ ঘটনার তদন্ত চলছে।

আজ সকালে নানুয়ার দিঘি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন
ছবি: এম সাদেক

এদিকে আজ দুপুরে কুমিল্লার কান্দিরপাড় কাত্যায়নী কালীমন্দির, মনোহরপুর রাজেশ্বরী কালীমন্দির, ঠাকুরপাড়া রামকৃষ্ণ মিশন পূজামণ্ডপ ঘুরে লোকজনের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। অন্য বছরগুলোর তুলনায় শারদীয় দুর্গাপূজার নবমীর দিনে তেমন কোনো উৎসবের আমেজ দেখা যায়নি। বিক্ষিপ্তভাবে পূজামণ্ডপগুলোতে দু–তিনজন করে আসতে দেখা গেছে।

এদিকে কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননাসংক্রান্ত খবরটি খতিয়ে দেখছে সরকার। গতকাল এক তথ্যবিবরণীতে সরকারের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।

তথ্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননাসংক্রান্ত খবরটি সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে যদি কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে, তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইন হাতে তুলে না নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।