কিশোরীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ায় তরুণের মাকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

নিহত লাইলী বেগমের স্বজনদের আহাজারি। আজ বুধবার সকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহে এক গৃহবধূর শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার ময়মনসিংহের সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মারা যাওয়া ওই গৃহবধূর নাম লাইলী বেগম (৩৮)। তিনি চর ঈশ্বরদিয়া গ্রামের আবদুর রশিদের স্ত্রী। লাইলীর তরুণ ছেলে প্রতিবেশী এক কিশোরীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার জের ধরে ওই কিশোরীর পরিবার এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ আবদুর রশিদের।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে লাইলী বেগমকে নিজের ঘরে আটকে রেখে আগুন দেয় বলে অভিযোগ। দগ্ধ লাইলীকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লাইলী বেগম।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, লাইলী বেগমকে আগুন দিয়ে পোড়ানোর অভিযোগে গতকাল দুপুরেই থানায় মামলা হয়েছে। পরে রাতে লাইলী বেগমের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। তবে আগুনে পোড়ানোর ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী তাঁরা পাননি।

লাইলী বেগমের স্বামী আবদুর রশিদ বলেন, প্রতিবেশী কাজল মিয়া ওরফে খোকনের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর ছেলের। কাজল মিয়া এ সম্পর্ক মানতে না পেরে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যে গত রোববার ছেলে ও মেয়ে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে গতকাল স্থানীয়ভাবে সালিস হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই তাঁর স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।

আবদুর রশিদ বলেন, আগুন দেওয়ার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে দগ্ধ অবস্থায় লাইলী বেগমকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ এখনো ঢাকায় রয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত হবে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাটির কোনো প্রত্যক্ষদর্শী না পাওয়ায় বিষয়টি তদন্ত করা হবে।