কিশোরগঞ্জে রেকর্ডের পরদিন করোনা শনাক্ত একটু কমেছে

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। এ সময়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ২৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল, জেলায় যা এক দিনে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। ওই দিন করোনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

এর আগে ৩১ জুলাই ১২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল এবং ওই দিন মারা যান ১ জন। ৩০ জুলাই শনাক্ত হন ১৪১ জন, মারা যান ৩ জন। ২৯ জুলাই শনাক্ত হন ১৫৯ জন, মারা যান ৩ জন। ২৮ জুলাই শনাক্ত হন ১৩২ জন, মারা যান ৫ জন। ২৭ জুলাই শনাক্ত হন ১২২ জন, মারা যান ২ জন। এই এক সপ্তাহের শেষ দুদিনে শনাক্তের হঠাৎ উল্লম্ফন প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ২৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল, জেলায় যা এক দিনে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। ওই দিন করোনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

জেলায় করোনায় সবশেষ মারা যাওয়া দুজনই কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ওই দুজনই নারী। তাঁদের মধ্যে একজন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা, বয়স ৬০ বছর। অপরজন বাজিতপুর উপজেলার বাসিন্দা, বয়স ৪৫ বছর।

জেলায় নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া ১৮৩ জনের মধ্যে ভৈরব উপজেলার সর্বোচ্চ ৪৮ জন। বাকিদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪৫, হোসেনপুরে ১০, করিমগঞ্জে ৬, তাড়াইলে ৪, পাকুন্দিয়ায় ৩, কটিয়াদীতে ৩৫, কুলিয়ারচরে ৪, নিকলীতে ৫, বাজিতপুরে ১৭, ইটনায় ১, মিঠামইনে ৩ ও অষ্টগ্রামে ২ জন শনাক্ত হয়েছেন।

এদিকে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে বর্তমানে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২০৫। তাঁদের মধ্যে ১০ জন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) এবং ১৪ জন হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় এই হাসপাতালে নতুন করে ৩২ রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ২৭ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

আরও পড়ুন

কিশোরগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন মো. মুজিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ৯ হাজার ৬১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬ হাজার ৭৭৬ জন সুস্থ এবং ১৬১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। বর্তমানে জেলায় ২ হাজার ৬৭৩ করোনা রোগী চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে ৭৩ জন হাসপাতালে এবং ২ হাজার ৬০০ জন বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

জেলায় করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় রয়েছেন সর্বোচ্চ ৫৯ জন। এ ছাড়া হোসেনপুরে ৮, করিমগঞ্জে ৯, তাড়াইলে ৫, পাকুন্দিয়ায় ১০, কটিয়াদীতে ১২, কুলিয়ারচরে ৭, ভৈরবে ২৯, নিকলীতে ৭, বাজিতপুরে ১৩, ইটনায় ১ ও মিঠামইনে ১ জন মারা গেছেন।